ট্রাম্পের গাফিলতিতে কত মৃত্যু, জানাচ্ছে নিউইয়র্কের ঘড়ি
নভেল করোনাভাইরাস মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যর্থতার স্মারক হিসেবে দেশটির জনবহুল নিউইয়র্ক শহরের টাইমস স্কয়ারে বসানো হয়েছে নতুন এক বিলবোর্ড। তাতে ট্রাম্পের কারণে করোনায় দেশে কতজন প্রাণ হারালেন সেই হালনাগাদ হিসাব জানানো হচ্ছে প্রতি মুহূর্তে।
স্মারকটির নির্মাতা বিশাল এর নাম দিয়েছেন ‘ট্রাম্প ডেথ ক্লক’। যেখানে প্রতি মুহূর্তে দেখানো হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের গাফিলতিতে যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কীভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ট্রাম্পের খামখেয়ালির কারণে কত মানুষকে প্রাণ দিতে হচ্ছে।
ডিসেম্বরে চীনে উৎপত্তির পর ইউরোপ হয়ে ওঠে করোনা প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্র। এখন তা যুক্তরাষ্ট্র। প্রাদুর্ভাব শুরুর আগে অনেক সময় পেলেও দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্কবার্তা ভ্রুক্ষেপ না করায় মহামারি ব্যাপক আকার ধারণ করেছে এমন অভিযোগ করে আসছেন অনেক মার্কিনি।
ঘড়ির নকশায় করা ওই বিলবোর্ডটি তৈরি করেছেন মার্কিন চলচ্চিত্র নির্মাতা ইউজিন জেরেকি। যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে যত মানুষ মারা গেছে তাদের মধ্যে কতজনকে চেষ্টা করলে বাঁচানো যেত সেই হিসাব তাতে দেখানো হচ্ছে।
সুবিশাল ওই বিলবোর্ডে রাখা সেই ‘ঘড়ি’র নীচে লেখা রয়েছে, ‘করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ট্রাম্প প্রশাসনের গাফিলতির জন্য মৃত্যুর সংখ্যাটা এমন হতে পারে।’ ইউজিন জেরেকি বলছেন, ট্রাম্প দ্রুত ব্যবস্থা নিলে ওই রোগীরা হয়ত আজ বেঁচে থাকতে পারতেন।
ট্রাম্প ডেথ ক্লকের নামের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, গত ১৬ মার্চের আগ পর্যন্ত করোনাভাইরাস ঠেকাতে কোনো পদক্ষেপ নিতে রাজি হননি ট্রাম্প। কিন্তু এর ঠিক এক সপ্তাহ আগে ৯ মার্চেই ট্রাম্প প্রশাসন সামাজিক দূরত্ব বাধ্যতামূলক করলে এবং স্কুল বন্ধ করলে ৬০ শতাংশ মানুষকে হয়ত বাঁচানো যেত।
‘ঘড়ির’ দেওয়া হিসাবে, যুক্তরাষ্ট্রে যে ৮০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে, এরমধ্যে ৪৮ হাজারের বেশি মানুষই মারা গেছেন ট্রাম্পের গাফিলতিতে। মার্কিন শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউসিও বলেছিলেন, ‘আরও আগে ব্যবস্থা নেওয়া গেলে হয়তো আমরা অনেককে বাঁচাতে পারতাম।’
এসএ