আমাদের বিরুদ্ধে ঋণখেলাপীর অভিযোগ ছিল না


প্রকাশিত: ০৯:২৪ এএম, ১৮ অক্টোবর ২০১৫

আমাদের বিরুদ্ধে ঋণখেলাপীর অভিযোগ কখনোই ছিল না, সেটা কাগজ দিয়ে প্রমাণ করেছি বলে মন্তব্য করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।

টাঙ্গাইলের উপনির্বাচনে প্রার্থীতা ফিরে পেতে রোববার দুপুরে ইসির আগারগাঁও কার্যালয়ে আপিল আবেদনের শুনানি শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমাদের আস্থা আছে। দেখা যাক শেষটা কী হয়। রিটার্নিং কর্মকর্তা তার দক্ষতার অভাবে আমাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিলেন। আশা করি নির্বাচন কমিশনের কাছে আমরা সুবিচার পাবো। তাই আপাতত উচ্চ আদালতে যাওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি।

এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দিন আহম্মদ শুনানি করেন। শুনানিতে অপর চার নির্বাচন কমিশনারও উপস্থিত ছিলেন। কাদের সিদ্দিকীর শুনানি শেষে তার স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকীর শুনানিও অনুষ্ঠিত হয়।

শুনানি শেষে কাদের সিদ্দিকী আরো বলেন, আইন অনুযায়ী আদালতের মত শুনানির পরই রায় দেওয়া হয়। কিন্তু এখানে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, তারা কাগজপত্র দেখে, পর্যালোচনা করে বিকেল ৫টায় রায় জানিয়ে দেবে।

প্রসঙ্গত, টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে উপনির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীও নাসরিন সিদ্দিকী।  গত ১৩ অক্টোবর রিটার্নিং কর্মকর্তা  ঋণখেলাপীর দায়ে তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। আগামী ১০ নভেম্বর এ আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

১৬ অক্টোবর দুপুরে কাদের সিদ্দিকীর পক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তার সে সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী। আপিলের সঙ্গে ঋণখেলাপের অভিযোগ সত্য নয় উল্লেখ করে একটি পত্রও জমা দেন। একই দিনে নাসরিন সিদ্দিকীও আপিল আবেদন করেন।

টাঙ্গাইল-৪ আসনের সাবেক এমপি লতিফ সিদ্দিকী পদত্যাগ করায় গত ১ সেপ্টেম্বর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়।

এইচএস/এসকেডি/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।