বিশ্বে সুনামির গতিতে ঘৃণা ছড়াচ্ছে: জাতিসংঘ মহাসচিব
করোনাভাইরাস মহামারি বিশ্বে ঘৃণা, আতঙ্ক আর জাতিবিদ্বেষের সুনামি সৃষ্টি করেছে বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। শুক্রবার তিনি এমন সতর্কবার্তা উচ্চারণ করে এই বিশ্বজুড়ে এই ঘৃণা-বিদ্বেষের অবসান ঘটাতে সবাইকে সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিদেশি বিরোধী মনোভাব, ইসলামবিদ্বেষ, ষড়যন্ত্র তত্ত্বের বিস্তার, আতঙ্ক ছড়ানো, একে অপরকে দোষারোপ ও , বিদ্বেষমূলক কথা বলে ঘৃণা ছড়ানোর এক ধরনের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তা দমনে কাজ করার অনুরোধ করেছেন তিনি।
মহাসচিব বলেছেন, অনলাইনে ও রাস্তায় রাস্তায় বিদেশি বিরোধী মনোভাব বৃদ্ধি পেয়েছে, ইহুদি বিরোধী ষড়যন্ত্র তত্ত্বগুলো ছড়িয়ে পড়ছে এবং মুসলিম বিদ্বেষে নানা আক্রমণ চলছে। এছাড়া অভিবাসী ও শরণার্থীদের ভাইরাস বিস্তারের জন্য দায়ী করে তাদের চিকিৎসা সেবা পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে না।
মহামারি কালেও যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাদানুবাদের মধ্যে জাতিসংঘ মহাসচিব এমন মন্তব্য করলেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দাবি করেছেন, চীনের জীবাণু গবেষণাগার থেকেই যে করোনার উৎপত্তি এমন প্রমাণ তার হাতে আছে। তবে চীনে সেই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র তত্ত্বের বিস্তারের পাল্টা অভিযোগ তুলেছে। তাদের দা বি নির্বাচনের আগে ট্রাম্প মিথ্যা ছড়াচ্ছে।
মানুষকে নিয়ে সকল রাষ্ট্রনেতাকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মহামারি মোকাবিলায় কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন অ্যান্তোনিও গুতেরেস। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ডিজিটাল উপায়ে শিক্ষা প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখার কথাও জানান তিনি। সুশীল সমাজকে দুর্বলদের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধও করেন মহাসচিব।
গুতেরেস বলেন, ‘সংবাদিক, হুইসেলব্লোয়ার, স্বাস্থ্যকর্মী, ত্রাণকর্মী ও মানবাধিকারকর্মীর মতো পেশার লোকদের শুধু তাদের পেশাগত কারণে বৈরি আচরণের শিকার হতে হচ্ছে। সংক্রমণের সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা বয়স্কদেরকেও অবহেলার পাত্র করে রাখার মতো ঘটনা ঘটছে। যা কাম্য নয়।’
এসএ