‘সফল’ সুইডেনেও করোনায় মৃত্যু ৩ হাজার ছাড়াল
নভেল করোনাভাইরাস অতি সংক্রামক। মানুষের সংস্পর্শে আসার মাধ্যমে এর দ্রুত ও ব্যাপক বিস্তার ঘটে। তাই বিশ্বজুরে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে লকডাউন রয়েছে ৩০০ কোটিরও বেশি মানুষ। অথচ এর ব্যতিক্রম ইউরোপের সুইডেনে কখনোই লকডাউন ঘোষণা করা হয়নি।
এ কারণে প্রথম দিকে অনেকে করোনা প্রতিরোধে সুইডেনের সাফল্যের গুণগান শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু সেই সাফল্য প্রাণহানিতে চাপা পড়েছে। কেননা দেশটির পাবলিক হেলথ এজেন্সি বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, সুইডেনে মহামারি করোনায় প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যা এখন ৩ হাজার ৪০ জন।
তবে প্রাদুর্ভাব শুরুর পর ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় সংক্রমণ অতটা ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়েনি। যদিও দেশটির লোকসংখ্যা কম অনেক কম তা সত্ত্বেও সুইডেনে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ২৪ হাজার ৬২৩ জন। প্রতিনিয়ত এ সংখ্যা বাড়তে থাকায় উদ্বেগ বেড়েছে দেশটিতে।
ইউরোপের অন্যান্য দেশ যখন সামাজিক দূরত্বসহ মানুষকে ঘরবন্দি করে রাখার মতো কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে তখন সুইডনে মানুষ দিব্যি বাড়ির ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। প্রথমদিকে সংক্রমণ কম থাকায় অনেকে দেশটির সরকারের প্রশংসা করলেও পরিস্থিতি এখন ভিন্নদিকে মোড় নিয়েছে। ।
প্রতিবেশী দেশগুলো যখন সীমান্ত বন্ধ, দোকান বন্ধ, খেলাধুলা ও ব্যবসা বন্ধ করা শুরু করলো তখন সুইডেন সেই পথে হাঁটলো না। কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের বদলে তারা তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। দেশটির সড়কে এখনো ব্যস্ত মানুষের চিত্র দেখা যাচ্ছে। কিন্তু কতদিন, সেই প্রশ্ন উঠেছে এখন।
সুইডেনের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অবশ্য লকডাউন না করে তাদের নেওয়া পদক্ষেপ কাজ করছে বলে জানান। কিন্তু আক্রান্ত ও মৃত্যু যেভাবে বাড়তে শুরু করেছে তা ভিন্ন কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে। একই রকম অবস্থা হয়েছে সিঙ্গাপুর, জাপান ও হংকংয়ের ক্ষেত্রেও। এসব দেশেও সক্রমণ বাড়ছেই।
এসএ