সুন্দরবনকে ধ্বংস করে বিদ্যুৎ চাই না
যদি হারিকেন জ্বালিয়ে থাকতে হয় তাতেও রাজি আছি কিন্তু সুন্দরবনকে ধ্বংস করার বিদ্যুৎ আমরা চাই না বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা আয়োজিত সুন্দরবন রক্ষায় রামপাল কয়লা ভিত্তিক প্রকল্প বাতিলের দাবিতে ১৬ থেকে ১৮ অক্টোবর ঢাকা-সুন্দরবন রোড মার্চের উদ্বোধনী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিকল্প থাকলেও সুন্দরবনের কোন বিকল্প নাই। দেশের স্বার্থ ও জনগণকে উপেক্ষা করে কিছু স্বার্থান্বেসীর পক্ষে সরকারের এ প্রকল্প কেউ মেনে নেবে না।
সমাবেশে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ বলেন, আপনি এক হাতে সুন্দরবনের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করবেন অন্য হাতে চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ পুরস্কার গ্রহণ করবেন আমরা তা মেনে নিতে পারি না।
আনু মোহাম্মদ বলেন, যে সুন্দরবন বাংলাদেশকে প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা থেকে রক্ষা করে সে সুন্দরবন ধ্বংস করলে এ দেশ অরক্ষিত হয়ে পরবে। উন্নয়ন নয়, এটি একটি ধ্বংস প্রকল্প।
রোড মার্চে সংহতি প্রকাশ করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকী বলেন, সুন্দরবন ধ্বংসকারী রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প এ সরকার যদি বাস্তবায়ন করে তবে তিনি (শেখ হাসিনা) জনগণের মাঝে পরিবেশ ধ্বংসকারী ও জানমালের লুণ্ঠনকারী হিসেবে চিহ্নিত হবে এবং তখন তার গদি কেউ রক্ষা করতে পারবে না।
তিনি আরো বলেন, সরকার যখন শুধু নিজের গদি নিয়ে ভাবে তখনই কেবল জনগণ ও দেশের স্বার্থবিরোধী পরিবেশ ধ্বংসকারী এমন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন- জ্বালানী বিশেষজ্ঞ বি ডি রহমুল্লাহ, বাসদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ইয়াসীন মিয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক বিভাগের অধ্যাপক আকমল হোসেন, বিপ্লবী গণতান্ত্র্রিক পার্টির আহ্বায়ক মোশরেফা মিশু প্রমুখ।
এএস/আরএস/এমএস