পেন্টাগনের আরও ২৮৮৯ কর্মী করোনায় আক্রান্ত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৪৯ এএম, ১৭ এপ্রিল ২০২০

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগনের আরও ২ হাজার ৮৮৯ জন কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে দুই কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

তবে আগের দিনের তুলনায় এই সংখ্যা কিছুটা কম। প্রতিরক্ষা দফতরে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৪ হাজার ৬৯৫ জনের শরীরে করোনার উপস্থিতি ধরা পড়েছে।

বিশ্বে ২১০টির বেশি দেশে আঘাত হেনেছে করোনাভাইরাস। করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র। করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যায় সব দেশকে ছাড়িয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র।

অপরদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সবগুলো অঙ্গরাজ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। তবে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে।

জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লাখ ৫৮ হাজার ২৬৩। অপরদিকে মারা গেছে ৩২ হাজার ১৮৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত ২৯ হাজার ১১৪। অপরদিকে একদিনেই মারা গেছে ২ হাজার ২৪ জন।

এদিকে, সম্প্রতি মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস থিওডোর রুজভেল্টের এক নাবিক করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে শারীরিক জটিলতায় গত সোমবার তার মৃৃত্যু হয়েছে।

গত ৩০ মার্চ তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। তবে এখনও পর্যন্ত ওই নাবিকের নাম বা তার বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।

করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর তাকে ওই রণতরী থেকে গুয়ামে অবস্থিত মার্কিন নৌঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল। ওই নাবিকের সঙ্গে আরও চার নাবিক আইসোলেশনে ছিলেন।

গত ৯ এপ্রিল ওই নাবিকের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালের ইন্টেন্সিভ কেয়ারে রাখা হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত রুজভেল্ট রণতরীর ৫৮৫ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। প্রায় ৪ হাজার ক্রু সদস্যকে ওই রণতরী থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

থিওডোর রণতরী ছাড়াও ইউএসএস নিমিজ এবং ইউএসএস রোনাল্ড রিগ্যান নামে আরও দু'টি রণতরীর বেশ কয়েকজন নাবিকের শরীরে করোনার উপস্থিতি ধরা পড়েছে।

টিটিএন/এমএস

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।