নিউইয়র্ক-মেরিল্যান্ডের বাসিন্দাদের মাস্ক পরার নির্দেশ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:২০ পিএম, ১৬ এপ্রিল ২০২০
চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস এখন বিশ্বের ২১০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত ২০ লাখ ৮৩ হাজার ৬০৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৬৩২ জন। অপরদিকে, ইতোমধ্যেই হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৫ লাখ ১০ হাজার ৬৬৬ জন।
এদিকে, এখন পর্যন্ত করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৮৯ জন। মারা গেছে ২৮ হাজার ৫২৯। সুস্থ হয়েছে ৪৮ হাজার ৭০১ জন। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ২৮ হাজার ৫২৯ জন, আর আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজার ২০৬ জন।
দেশটির ৫০টি অঙ্গরাজ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছেই। তবে করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য।
অন্যান্য অঙ্গরাজ্যের চেয়ে নিউইয়র্কেই আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। করোনা ওই অঙ্গরাজ্যে ভয়াবহ বিপর্যয় তৈরি করেছে। এদিকে করোনার বিস্তার ঠেকাতে নিউইয়র্ক, মেরিল্যান্ড এবং পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দাদের জনসমাগম ঘটে এমন স্থানে মাস্ক পরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নিউইয়র্কের মেয়র অ্যান্ড্রিউ কুমো বলেন, আমি এটা নিশ্চিত করতে চাই যে, জনসমাগম হয় এমন স্থান অর্থাৎ যেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয় সেসব স্থানে সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে অথবা মুখ ঢেকে রাখতে হবে। এই নির্দেশনা শুক্রবার থেকে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
অপরদিকে, মেরিল্যান্ডের গভর্নর লেরি হোগ্যান বলেছেন, মুদি দোকান, ফার্মেসিসহ জনসমাগমে এবং গণপরিবহন চলাচলের সময় অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে অথবা মুখ ঢেকে রাখতে হবে। সেখানে শনিবার থেকে এই নির্দেশনা কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।
কানেক্টিকাট এবং পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের গভর্নরও তাদের বাসিন্দাদের জনসমাগম হয় এমন স্থানে ফেস মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছেন।
করোনার বিস্তার ঠেকাতে বিশেষজ্ঞরা প্রথম থেকেই হাত পরিষ্কার রাখা, মুখ কাপড় বা মাস্ক দিয়ে ঢেকে রাখা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দিয়ে আসছেন। মানুষ থেকে মানুষে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। এসব নিয়ম মেনে চললে এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব।
টিটিএন/এমএস