খেটে খাওয়া মানুষের দুর্দশা কমাতে লকডাউন শিথিল করছে ভারত
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ভারতে জারিকৃত লকডাউনের কারণে দেশটির কোটি কোটি মানুষ নজিরবিহীন দুর্দশায় পড়েছেন। বিশেষ করে দেশটির নিম্নবিত্ত শ্রেণির লাখ লাখ মানুষ কাজের সন্ধানে রাস্তায় নেমে এসেছেন। এমন পরিস্থিতিতে খাদ্য ও কাজের দাবিতে দেশটির বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।
এদিকে, মঙ্গলবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশটিতে করোনার বিস্তাররোধে জারিকৃত লকডাউনের মেয়াদ আগামী ৩ মে পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। তবে বুধবার এক বিবৃতিতে দেশটির ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার বলছে, এক সপ্তাহ পরে ভারতের কম সংক্রমিত এলাকাগুলোতে লকডাউনের বিধি-নিষেধ শিথিল করা হবে।
সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনার পর আগামী ২০ এপ্রিল থেকে দেশটির কৃষি খাত, প্রত্যন্ত অঞ্চলে সড়ক ও ভবন নির্মাণ, আইটি, ই-কমার্স ও আন্তঃরাষ্ট্রীয় পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ শিথিল হবে। তবে করোনাভাইরাসের হটস্পট হিসেবে শনাক্ত স্থানগুলোতে লকডাউন কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রত্যন্ত অঞ্চলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দিনমজুর এবং অন্যান্য শ্রেণির মানুষের জন্য কৃষি এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ড পুনরায় পুরোদমে শুরুর অনুমতি দেয়া হবে। এছাড়া প্রয়োজনীয় এবং অপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ও আন্তঃরাষ্ট্রীয় পণ্য পরিবহন আগামী ২০ এপ্রিলের পর থেকে পরিবহনের অনুমতি পাবে।
এতে বলা হয়েছে, লকডাউনের ফলে গ্রামীণ অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতি কেটে ওঠার জন্য খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পসহ গ্রামাঞ্চলের শিল্পপ্রতিষ্ঠান, গ্রামাঞ্চলের রাস্তাঘাট, সেচ প্রকল্প, ভবন এবং শিল্প প্রকল্প; সেচ ও পানি সংরক্ষণের কাজ অগ্রাধিকারভিত্তিতে ফের শুরু হবে।
ভারতে করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট রোগ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৩৯৬ এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৫৫৫ জন।
সূত্র : এনডিটিভি।
এসআইএস/এমএস