করোনা: সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে ২০২২ সাল পর্যন্ত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৫৭ পিএম, ১৫ এপ্রিল ২০২০
শুধুমাত্র একবার লকডাউনের মাধ্যমেই করোনার প্রকোপ ঠেকানো সম্ভব নয়। এমনকি অল্প কিছুদিন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে না। আরও কয়েক বছর হয়তো আমাদের এসব মেনে চলতে হবে।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা বলছেন, এক একটি দেশে যেভাবে লকডাউন করা হচ্ছে শুধুমাত্র এভাবে একবার লকডাউনের মাধ্যমেই নভেল করোনার প্রকোপ থামানো যাবে না। এমনকি সামাজিক দূরত্বও হয়তো আগামী ২০২২ সাল পর্যন্ত বজায় রাখা জরুরি বলে মনে করছেন তারা।
আগামী কয়েক বছর এভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা গেলে হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা অনেক কমবে বলে মনে করছেন তারা। কারণ এতে করে সংক্রমণ খুব বেশি ছড়িয়ে পড়তে পারবে না।
বর্তমানে বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা অন্যান্য দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি। একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ডেও সব দেশকে ছাড়িয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র।
শক্তিধর এই দেশটি যখন করোনা নিয়ে এমন বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে পড়েছে ঠিক এমন সময়ই নতুন এই গবেষণা সামনে এলো। দেশটির ৫০টি অঙ্গরাজ্যেই করোনা হানা দিলেও এখনও সব অঙ্গরাজ্য লকডাউন ঘোষণা করা হয়নি।
এদিকে, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন এই গবেষণা বলছে, করোনাভাইরাস হয়তো অন্যান্য কিছু রোগের মতো মৌসুমভিত্তিক হয়ে পড়তে পারে। অর্থাৎ শীতের দিনগুলোতে এই ভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যেতে পারে। শীতের মৌসুমে এই ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে পারে।
করোনা নিয়ে গবেষণা করা হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই গবেষক দলটির প্রধান স্টিফেন কিসলার বলেন, আমরা এটা খুঁজে বের করতে সক্ষম হয়েছি যে, এককালীন সামাজিক দূরত্ব করোনা প্রতিরোধে যথেষ্ট নয়। বরং দীর্ঘ সময় ধরেই তা মেনে চলা জরুরি।
তবে তার মতে এই ভাইরাসের ওষুধ এবং প্রতিষেধক সহজলভ্য হলে লকডাউনের সময়সীমা এবং কড়াকড়ি শিথিল করা যেতে পারে। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত এগুলো আমাদের হাতে আসছে না ততদিন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখলে হাসপাতালগুলো গুরুতর রোগীদের সেবাদানে বেশি সময় পাবে বলে মনে করেন তিনি।
বিভিন্ন জনসমাগম কমিয়ে আনা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কারণে সরাসরি করোনায় সংক্রমণের ঘটনা কমিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে। সে কারণেই এখন করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে বিভিন্ন দেশে লোকজনকে বাড়িতেই থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজন ছাড়া এখন কেউ ঘর থেকে বের হতে পারছে না।
টিটিএন/পিআর