বরিশাল বিএম কলেজে ছাত্রলীগের ২ পক্ষের সংঘর্ষ


প্রকাশিত: ১১:২০ এএম, ১৪ অক্টোবর ২০১৫

বরিশাল ব্রজমোহন কলেজে (বিএম) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় তিন রাউন্ড গুলি হয়েছে বলে দুই পক্ষ পাল্টা-পাল্টি দাবি করেছে। বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে ক্যাম্পাসের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

তবে পুলিশ বলছে কোনো গুলির ঘটনা ঘটেনি, পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। আর কলেজ অধ্যক্ষ বলছেন, অনাকাঙ্খিত এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বুধবার বিকেলে কলেজ অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভা আহ্বান করা হয়েছে। সভায় ওই ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।

বিএম কলেজ ছাত্রলীগ নেতা নূর-আল আহাদ সাঈদী জাগো নিউজকে জানান, বুধবার কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের একটি স্মরণিকা উদ্বাধনী অনুষ্ঠান ছিল। কলেজের আবাসিক-অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা ওই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও ফ্লাইট সার্জেন্ট ফজলুল হক ডিগ্রি হোস্টেলের ৩০৩ নম্বর কক্ষের বাসিন্দা মোকসেদুর রহমান মুবিনকে বিনা কারণে মারধর করা হয়। এ কাজ করেন কলেজ ছাত্র সংসদের বিকল্প হিসেবে গঠিত ছাত্র কর্ম পরিষদের জিএস নাহিদ সেরনিয়াবাত এবং ছাত্রলীগ নেতা আরিফুর রহমান মুন্নাসহ অন্যরা।

খবর পেয়ে হোস্টেলের ছাত্ররা একত্রিত হয়ে হামলাকারীদের ধাওয়া করলে নাহিদ ও মুন্না সাধারণ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে তিন রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যান।

ডিগ্রি হোস্টেলের ছাত্র ইভান জাগো নিউজকে জানান, মুবিন বিভাগীয় রোভার স্কাউটের সভাপতি এবং নিরীহ ছাত্র। তাকে মারধরের খবর পেয়ে সাধারণ ছাত্ররা এগিয়ে গেলে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে গুলি করেন দুর্বৃত্তরা। হামলায় মুবিন আহত হন বলে তিনি জানান। এ ঘটনার প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করেন এবং অধ্যক্ষের কাছে ওই ঘটনায় দোষীদের বিচার দাবি করেন বলে জানান বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।


এদিকে, ওই ঘটনার পর অভিযুক্ত নাহিদ সেরনিয়াবাত এবং আরিফুর রহমান মুন্নাকে ক্যাম্পাসে না পাওয়া গেলে, মুঠোফোনে তারা সাধারণ ছাত্রকে মারধর এবং গুলি করার কথা অস্বীকার করেছেন। ভিপি মঈন তুষার গ্রুপ তাদের (নাহিদ-মুন্না) লক্ষ্য করে গুলি করেছে বলে অভিযোগ করেন তারা।

বিএম কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক স.ম. ইনামুল হাকিম জাগো নিউজকে জানান, বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে ঝামেলা করেছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন। এর প্রেক্ষিতে বিকেলে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভা ডাকা হয়েছে। ওই সভায় অনাকাঙ্খিত ঘটনা তদন্তে কমিটি করা হবে। ওই কমিটি দোষীদের চিহ্নিত করলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাখাওয়াত হোসেন জাগো নিউজকে জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রলীগের তুষার এবং মুন্না গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। এই ঘটনার আকার বড় হওয়ার আগেই পুলিশ ক্যাম্পাসে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। বর্তমানে ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ক্যাম্পাসে কোনো গুলির ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেন ওসি।

সাইফ আমীন/এমজেড/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।