শিক্ষক নিয়োগের ক্ষমতা থাকছে না কমিটির


প্রকাশিত: ০৯:০৯ এএম, ১৪ অক্টোবর ২০১৫

বেসরকারি স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার জন্য মানসম্পন্ন উপযুক্ত শিক্ষক নির্বাচনের লক্ষ্যে শূণ্য পদের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ মেধা তালিকা প্রকাশের বিধান রেখে বেসরকারি শিক্ষক নির্বাচন কমিশন গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী এক মাসের মধ্যে এটি চূড়ান্ত হবে। তখন আর বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোর কমিটির হাতে নিয়োগ ক্ষমতা থাকবে না।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বুধবার দুপুরে ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে তার মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।

মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ণ কর্তৃপক্ষ -এনটিআরসিএ এর মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের জন্য নিবন্ধন পরীক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে মেধা তালিকা না থাকায় এবং শূন্য পদের তুলনায় উত্তীর্ণ প্রার্থীর সংখ্যা অধিক হওয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে নিয়োগের ক্ষেত্রে অনৈতিক পথ অবলম্বনের প্রবণতা দেখা যায়।

শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে এনটিআরসিএ এর মাধ্যমে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার বিভিন্ন ত্রুটি তুলে ধরে বলেন, পাস নম্বর কম হওয়ায়, মৌখিক পরীক্ষার বিধান না থাকায় এবং নিবন্ধন সনদের মেয়াদ দীর্ঘকালীন হওয়ায় বর্তমান ব্যবস্থায় মানসম্মত শিক্ষক নিয়োগ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। এসব সমস্যা দূর করে মানসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিত করতে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা গ্রহণ ও প্রত্যয়ণ বিধিমালা ২০০৬ সংশোধনের কার্যক্রম চূড়ান্ত করা হয়েছে।
 
প্রস্তাবিত এনটিএসসি এর মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ পদ্ধতির বিস্তারিত তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও জেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে সারাদেশ থেকে প্রাপ্ত শূন্য পদের ভিত্তিতে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের উপজেলা, জেলা ও জাতীয়ভিত্তিক মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে।

তিনি এ ব্যাপারে গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে সুচিন্তিত মতামত প্রত্যাশা করেন। শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এ সরকারি অনুমোদন ও আর্থিক সহায়তাপ্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপযুক্ত শিক্ষক নির্বাচনের লক্ষ্যে সরকারি কর্মকমিশনের অনুরূপ একটি বেসরকারি শিক্ষক নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা বলা হয়েছে। শিক্ষা আইনের খসড়াতেও এনটিআরসিএ-কে পুনর্বিন্যাস করে এনটিএসসি গঠনের কথা বলা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, প্রস্তাবিত এনটিএসসি গঠনের পূর্ব পর্যন্ত এনটিআরসিএ শিক্ষক নিয়োগের বর্তমান দায়িত্ব পালন করবে।

শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বর্তমানে প্রচলিত এনটিআরসিএ এর সনদধারীগণ এনটিএসসি এর মাধ্যমে নির্বাচিত প্রার্থীদের সাথে তিন বছরের জন্য আবেদনের সুযোগ পেতে পারেন। তিন বছর পর এনটিআরসিএ এর সনদধারীদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেতে হলে নতুন করে পরীক্ষা দিতে হবে।

এসএ/এআরএস/আরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।