করোনায় মৃত মুসলিমদের লাশও পুড়িয়ে ফেলছে শ্রীলংকা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:১৬ এএম, ১৩ এপ্রিল ২০২০

করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) মৃতদের মরদেহ পুড়িয়ে ভস্ম করা বাধ্যতামূলক করেছে শ্রীলংকা। ফলে মুসলিমদের মরদেহও পুড়িয়ে ফেলছে দেশটি। শ্রীলংকা সরকারের এ সিদ্ধান্তের চরম বিরোধিতা করেছে দেশটির মুসলমান সম্প্রদায়।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটিতে এ পর্যন্ত সাতজন করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। এদের মধ্যে তিনজন মুসলমানও রয়েছে। তবে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের প্রচণ্ড বিরোধিতা সত্ত্বেও তাদের মরদেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়।

দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী পবিত্র বানিয়ারাচ্চি রোববার এ-সংক্রান্ত এক আদেশে জারি করেছেন। এতে বলা হয়েছে, ‘যারা কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে বা কোভিড-১৯ সন্দেহে মারা গেছে, তাদের মরদেহ পোড়ানো বাধ্যতামূলক।’

শ্রীলংকা সরকারের এ সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ করেছে দেশটির সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায় ও বিভিন্ন মানবাধিকার গ্রু।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক বিরাজ পাটনায়েক বলেছেন, ‘এই কঠিন মুহূর্তে কর্তৃপক্ষের উচিত সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য তৈরি করা, বিভেদ নয়।’

ইসলাম ধর্মের রীতি অনুযায়ী, কোনো মুসলিম মারা গেলে তাকে গোসল ও জানাজা শেষে কবর দিতে হবে। এমনকি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (ডব্লিউএইচও) বলেছে, করোনায় মৃতদের মরদেহ পুড়িয়ে ফেলা বা মাটিতে সমাধিস্থ করা যাবে।
তবে হু-র এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এককভাবে মুসলমানদের মরদেহও পুড়িয়ে ফেলছে শ্রীলংকা সরকার।

দেশটিতে এ পর্যন্ত দুইশোর অধিক করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা গেছে। এই অবস্থায় দেশজুড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করেছে সরকার।

শ্রীলংকায় মোট জনগোষ্ঠীর ১০ ভাগ মুসলিম। করোনায় মৃত মুসলমানদের পুড়িয়ে ফেলাকে ‘ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও মৃতের স্বজনদের প্রতি সরকারের চরম অবহেলা’ বলে মন্তব্য করেছে দেশটির মুসলমানদের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক সংগঠন।

এসআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।