সাজাপ্রাপ্ত চালককে ছাড়িয়ে নিলো পরিবহন শ্রমিকরা
পিকআপভ্যান চালককে সাজা প্রদান ও গ্রেফতারের জের ধরে সিলেট সার্কিট হাউসের সামনে তুলকালাম কাণ্ড ঘটিয়েছে পরিবহন শ্রমিকরা।
শ্রমিকরা সার্কিট হাউসের সামনে সড়ক অবরাধ করে রাখে ও পুলিশকে ধাওয়া করে। তাদের আন্দোলনের মুখে একপর্যায়ে সাজাপ্রাপ্ত চালককে বিকেলে জামিনে মুক্তি দেয়া হয়।
জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় সার্কিট হাউজের সামনে পিকআপ ভ্যান রাখার অভিযোগে চালক রুবেল আহমদকে ৫০০ টাকা জরিমানা ও ২ মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী হাকিম জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী।
দণ্ডপ্রাপ্ত পিকআপভ্যান চালক রুবেল আহমদ (২৫) জৈন্তাপুর উপজেলার সারিঘাট এলাকার আব্দুস সাত্তারের ছেলে।
দণ্ড প্রদানের পর চালক রুবেলকে কোতোয়ালি থানা পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এঘটনায় জেলা ট্রাক, পিকআপভ্যান এবং কাভার্ডভ্যান শ্রমিকরা নগরের ক্বীন ব্রিজ এলাকায় সড়ক অবরোধ করে। অবরোধ চলাকালে শ্রমিকরা পুলিশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকেল পর্যন্ত সিলেট সার্কিট হাউজের সামনে থেকে সুরমা পয়েন্ট পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে শ্রমিকরা। এসময় উত্তেজনা দেখা দিলে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ ও এপিসি ভ্যান মোতায়েন করা হয়। তবে পুলিশের দিকেও কয়েকবার তেড়ে যায় উত্তেজিত শ্রমিকরা।
শ্রমিকদের আন্দোলনের মুখে একপর্যায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত চালক রুবেল আহমদকে জামিনে মুক্তি দেন জেলা প্রশাসক মো. জয়নাল আবেদীন। বিকেল ৩টার দিকে রুবেল মুক্ত হওয়ার পর অবরোধ তুলে নেয় পরিবহন শ্রমিকরা।
এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহাম্মদ বলেন, সার্কিট হাউসের সামনে অবৈধ পার্কিংয়ের কারণে এক চালককে জরিমানা ও জেল দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এর প্রতিবাদে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক পিকআপভ্যান চালককে জামিন দিলে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেয়।
তিনি বলেন, সার্কিট হাউসের সামনে বিভিন্ন সময় অবৈধভাবে ট্রাক ও পিকআপ ভ্যান দাঁড় করিয়ে রাখে চালকরা। এতে এই সড়কের যাত্রী, ব্যবসায়ী ও স্কুল ছাত্রদের বিপাকে পড়তে হয়।
সিলেট জেলা ট্রাক, পিকআপ ভ্যান, কাভার্ড ভ্যান ইউনিয়নের সাবেক সহ সভাপতি বকুল আহমদ বক্কু বলেন, অন্যায়ভাবে পিকআপ ভ্যান চালকের উপর জরিমানা ও জেল দেওয়া হয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করেছি। চালককে জামিন দেয়ায় অবরোধ তুলে নেয়া হয়েছে।
ছামির মাহমুদ/এমএএস/আরআইপি