একবছর ৩০ শতাংশ বেতন নেবেন না ভারতের মন্ত্রী-এমপিরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৪১ পিএম, ০৭ এপ্রিল ২০২০

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় আগামী এক বছর নিজেদের বেতনের ৩০ শতাংশ নেবেন না ভারতের প্রধানমন্ত্রীসহ সব কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও সাংসদরা। এছাড়া রাষ্ট্রপতি, উপ রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালরাও স্বেচ্ছায় নিজেদের বেতন ৩০ শতাংশ কম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

সাংসদদের ভাতা ও পেনশনও এক বছরের জন্য ৩০ শতাংশ কাটার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় প্রত্যেক সাংসদদের এলাকা উন্নয়ন তহবিল বা এমপিল্যাড খরচও আগামী দুই বছর বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি দলীয় কেন্দ্রীয় সরকার। এই অর্থ যাবে প্রধান‌মন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে।

নিয়ম অনুযায়ী ভারতের প্রত্যেক সাংসদ প্রতি বছর নিজের এলাকার উন্নয়নে খরচের জন্য ৫ কোটি রুপির একটি তহবিল পান। ভারতীয় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভায় ৫৪৩টি ও উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় ২৪৩টি আসন রয়েছে। সেই হিসাবে দুই বছরে এখান থেকেই প্রায় ৭ হাজার ৯০০ কোটি রুপি সাশ্রয় হবে।

করোনাভাইরাস মোকাবিলা এবং মহামারি এই ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক বিপর্যয় সাম‌লাতে মন্ত্রী-সাংসদরা নিজেরাই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। মন্ত্রিসভার এক বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মন্ত্রিসভার ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ভারতীয় টেলিভিশন এনডিটিভি এক অনলাইন প্রতিবেদনে জানিয়েছে, চলতি এপ্রিল থেকেই বেতন কাটা শুরু হবে। বেতনের এই অংশ জমা হবে দেশটির কনসোলিডেটেড ফান্ডে। তারপর তা করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ব্যয় করা হবে।

বিষয়টি নিয়ে ঐকমত্য তৈরিতে মোদি সব দলের নেতাদের ফোন করেন। তবে বেতন কর্তনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও, সাংসদদের এলাকা উন্নয়ন তহবিল বন্ধ নিয়ে আপত্তি তুলেছেন বিরোধীরা। তারা বলছেন, সাংসদরা চাইলে ওই অর্থ তার নিজের এলাকায় করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যয় করতে পারতেন।

এসএ

 

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।