আগামী ৬ মাসে কোনো শ্রমিক ছাঁটাই করা যাবে না : মালয়েশিয়া

আহমাদুল কবির
আহমাদুল কবির আহমাদুল কবির , মালয়েশিয়া প্রতিনিধি মালয়েশিয়া
প্রকাশিত: ০৯:২৭ এএম, ০৭ এপ্রিল ২০২০

মালয়েশিয়ায় চলমান মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডারের (এমসিও) ২১তম দিন অতিবাহিত হচ্ছে। করোনা সংক্রমণ বিস্তারে বিশ্বের ন্যায় দেশটির অর্থনীতিতে প্রবল প্রভাব পড়েছে। টানা মুভমেন্ট কন্ট্রোলে ব্যবসায়ীদের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

এমন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন ধরনের নাগরিক সুবিধা ঘোষণা করে আসছে সরকার। তারই অংশ হিসেবে দেশের সকল শ্রেণির ব্যবসায়ীদের নির্দিষ্ট হারে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে প্রশংসায় ভাসছে বর্তমান সরকার।

দেশটির বিভিন্ন কোম্পানিতে কর্মরত বিদেশি শ্রমিকদের ভিসা নবায়নের ক্ষেত্রে কোম্পানি কর্তৃক প্রদত্ত লেভি চার্জ ২৫ শতাংশ কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী তানশ্রি মুহিদ্দিন ইয়াসিন। যা চলতি মাসের ১ এপ্রিল থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

এই সময়ের মধ্যে যেসব শ্রমিকদের ভিসা নবায়ন বা রিনিউ করা হবে তাদের ক্ষেত্রে মুল লেভি চার্জের ২৫ শতাংশ বা চারভাগের একভাগ কমিয়ে আনা হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন এজেন্ট কোম্পানিতে ভিসাধারী বাংলাদেশি কর্মীরাও এই সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

সোমবার (৬ এপ্রিল) জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এ ঘোষণার পাশাপাশি মালিকপক্ষকে লকডাউন চলাকালীন সময়ে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ কড়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, যদি কোনো মালিক শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ না করে তাহলে অভিবাসীরা অভিযোগ করতে পারবেন। তিনি আরও বলেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে কোনো শ্রমিককে ছাঁটাই করা যাবে না। যেসব মালিক/কোম্পানি আইন অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, মালয়েশিয়ায় করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) মৃত্যু হয়েছে ৬২ জনের। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৭৯৩ জনে। চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ২৪১ জন।

নাগরিকদের লকডাউন নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মহাপরিচালক ডা. নুর হিশাম। জরুরি প্রয়োজনে যারা ঘরের বাইরে যাবেন তাদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলার বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি।

এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।