কাতারে সন্ধ্যার পর খোলা রাখা যাবে খাবারের দোকান
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কাতার সরকার। তারপরও ঠেকানো যাচ্ছে না আক্রান্তের সংখ্যা। নতুন করে শুক্রবার আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ জন। এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫৬২ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনা বিস্তার ঠেকাতে এরইমধ্যে বন্ধ করা হয়েছে মসজিদ, স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়, সেলুন, সিসার দোকান, শপিংমল, সিনেমাহল। বন্ধ আছে গণপরিবহন, মেট্রোরেল ও বিমান চলাচল। লকডাউন করে দেয়া হয়েছে সানাইয়া শিল্পাঞ্চল।
বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে চলাচলে, আইন না মানলে করা হচ্ছে গ্রেফতার। এ অবস্থায় চিন্তিত হয়ে পড়েছেন কর্মহীন প্রবাসীরা। প্রয়োজন ছাড়া ঘোরাঘুরি না করার পরামর্শ প্রবাসীদের।
এদিকে শুক্রবার রাত থেকে কার্যকর করা হয়েছে নতুন নিয়ম। সন্ধ্যা ৭টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত শুধু খাবারের দোকান ছাড়া অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রতিদিন বন্ধ থাকবে সকল দোকানপাট।
করোনাভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে বাংলা ভাষায় একটি রেডিও চালু করেছে কাতার সরকার। এখনও পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি আক্রান্ত না হলেও কোয়ারেন্টাইনে থাকা একজন বাংলাদেশি জানিয়েছেন, চার হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি কোয়ারেন্টাইন আছেন। তবে সবাই ভালো আছেন।
আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন প্রবাসীরা, কাতারে এ পর্যন্ত ১৫ হাজারের মতো মানুষের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। করোনায় আক্রান্তদের অন্তত ৪৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
বিএ