করোনার আরেক উপসর্গ ঘ্রাণশক্তি লোপ, দাবি ডাক্তারদের
একজন ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে উপসর্গ হিসেবে জ্বর, সর্দি, হাঁচি-কাশি ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেবে বলে পৃথিবীর সব ডাক্তার একমত হয়েছেন। এসব উপসর্গের সঙ্গে থাকবে বুকের ব্যথা।
এবার একদল ডাক্তার দাবি করছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে একজন মানুষ হারিয়ে ফেলতে পারে ঘ্রাণশক্তি। ফলে কোনো কিছুর ঘ্রাণ না পাওয়াটাও করোনাভাইরাসের উপসর্গ হতে পারে।
ব্রিটেনের নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররাই এমন দাবি করছেন। এক বিবৃতিতে তারা দাবি করেন, তারা বিষয়টি বৈশ্বিকভাবে পর্যবেক্ষণ করে এমন কথা বলছেন। ঘ্রাণশক্তি হারিয়ে ফেলা প্রাপ্তবয়স্করা সম্ভাব্য করোনা আক্রান্ত রোগী হতে পারে। তাদের সেলফ আইসোলেশনে পাঠানোর জন্য বিবেচনা করা যেতে পারে।
এ বিষয়ে ব্রিটিশ রাইনোলোজিক্যাল সোসাইটির সভাপতি ক্লেয়ার হপকিন্স বলেন, ‘এমন কিছু লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। তবে এটা এখনও প্রমাণিত নয়। আমার কিছু সহকর্মী ছিল, তারা আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে এবং এই বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে চেয়েছে। তবে বিষয়টি তেমন সামনে আসেনি।’
ঘ্রাণশক্তি হারিয়ে ফেলা যে করোনাভাইরাসের লক্ষণ হতে পারে তা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করেনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তবে তারা এটাকে বাতিল বলেও উল্লেখ করেনি।
বিবৃতিতে তারা উল্লেখ করেছেন, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, ইতালি ও ইরানে অনেকেই ঘ্রাণ হারিয়ে ফেলার মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর উপসর্গ দেখা দেয়। জার্মানিতে তিন ভাগের দুই ভাগ করোনা আক্রান্ত রোগীর ঘ্রাণশক্তিজনিত সমস্যা ছিল। দক্ষিণ কোরিয়ায় ৩০ শতাংশ করোনা আক্রান্ত রোগীর অ্যানোসমিয়া তথা ঘ্রাণশক্তি লোপের সমস্যা ছিল।
উল্লেখ্য, চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৮৪২ জন আক্রান্ত হয়েছে। আর ১৭ হাজার ২৬০ জনের প্রাণহানি হয়।
এফআর/এমএস