ভুয়া সিমে বিপন্ন রাষ্ট্র


প্রকাশিত: ০২:৪৪ এএম, ১২ অক্টোবর ২০১৫

পবিত্র হজ নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে আব্দুল  লতিফ সিদ্দিকীর বিদায়ের পর তারানা হালিম টেলিকম বিভাগের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে এই মন্ত্রণালয়ের শুন্যতা পূরণ করলেও একটি প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে তিনি কেমন করে পা ফেলেন সেটি নিয়ে অনেকেই কান পেতে ছিলেন। কেউ কেউ ভেবেছেন অভিনয়ে, আবৃত্তিতে, শিক্ষায় সক্ষমতা মানেই টেলিকমের মতো খাতে দক্ষতা দেখানো; এমনটি নাও হতে পারতো। তাদের কাছে তারানা হালিমের স্বল্প বয়সও একটা বড় বিবেচনার বিষয় ছিলো। অভিজ্ঞতার অভাবকেও কম গুরুত্ব দেয়া হয় নাই। কিন্তু বিস্ময়করভাবে তারানা হালিম তার অস্তিত্ব জানিয়ে দিলেন। মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়ে কিছুটা সময় কাটিয়েই তিনি এমন এক জায়গায় হাত দিলেন যে, পুরো টেলিকম খাত কেঁপে উঠলো।  একদিন তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সভা করতে গিয়ে জানলেন যে, মোবাইলের সিমের পরিচিতি নিশ্চিত করতে না পারার জন্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাদের পক্ষে অপরাধ দমন করা কঠিন হয়ে পড়েছে। বিষয়টি তাকে ভীষণভাবে আলোড়িত করে এবং তিনি সিম নিবন্ধনের বিষয়টি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে আগ্রহী হন।

আমি ঠিক জানিনা যে, কাজটিকে দৃঢ়ভাবে  সম্পন্ন করার সময় তিনি সিম নিবন্ধনের মতো “হেলা ফেলা” এই বিষয়টির ব্যাপকতার কতোটা অনুভব করেছিলেন। তবে আমি ও আমরা যারা ডিজিটাল নিরাপত্তা বিষয়ে চিন্তিত তারা বহু বছর যাবৎ এই বিষয়ে অন্তত বিটিআরসির দৃষ্টি আকর্ষণ করে আসছিলাম। তাদেরকে বারবার বলে আসছিলাম যে, নিবন্ধনহীন সিম অপরাধের কারখানা। কোন রাষ্ট্র এভাবে নিজেকে বিপন্ন করতে পারে না। কিন্তু বিটিআরসি এটিকে যে কেবল এড়িয়ে গেছে তাই নয়, এই চরম অরাজকতা সৃষ্টির প্রধানতম আশ্রয়স্থল হিসেবে ওরা কাজ করে গেছে। এই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের টেলিকম খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তারাই মোবাইল অপারেটরদেরকে লাইসেন্স প্রদান করে। ওদেরকেসহ সম্প্রচার প্রতিষ্ঠানসমূহকে তরঙ্গ বরাদ্দ করাও তাদের কাজ। এই বিষয়ে বিধি বিধান যা  তৈরির তারাই তা করে। সরকারের পক্ষে বিধি বিধানের প্রয়োগও তারাই করে। ২০০৭-০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা যদি কারও মনে থাকে তবে স্মরণ করতে পারবেন যে, এই প্রতিষ্ঠানটি দেখিয়েছে নিয়ন্ত্রণ ও বিধি বিধানের প্রয়োগ কাকে বলে।

কোটি কোটি টাকা জরিমানা করার সময় তখনকার বিটিআরসি কারও দিকে তাকায়নি। মনজুর আলম সাহেবের সেই ধারাবাহিকতা কিছুটা হলেও জিয়া আহমদ শেলী বহাল রাখেন। তবে বিটিআরসির প্রথম ডানা ভাঙ্গেন রাজিউদ্দিন রাজু ও সুনীল কান্তি বোস। মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিব হিসেবে লাইসেন্স বিষয়ক ক্ষমতা বিটিআরসি থেকে মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তরের কাজটা তারাই করেন। সেই জটিলতাতেই থ্রিজির নিলাম হয় পাঁচ বছর পরে। সাহারা খাতুন এই মন্ত্রণালয়ের কোনো কিছুই সঠিক পথে আনতে পারেননি। তবে সিম নিবন্ধনের অনিয়মের গোড়া হয়ে থাকে বিটিআরসিই। বিটিআরসি নিজেই এক সময়ে বিধি  তৈরি করে যে সিম যদি যথাযথভাবে নিবন্ধিত না হয় তবে প্রতিটি সিমের জন্য বিটিআরসি মোবাইল অপারেটরকে ৫০ ডলার হিসেবে জরিমানা করবে।  বছরের পর বছর কোটি কোটি অনিবন্ধিত সিম বিটিআরসির নাকের ডগায় বিক্রি হলেও ওরা একটি অপারেটরকে একটি অনিবন্ধিত সিমের জন্য এক ডলারও জরিমানা করেনি। মোবাইল অপারেটরগণ তখন অজুহাত তুলেছে যে, তারা জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করতে পারে না বলে সিম নিবন্ধন সঠিক হয় না। অথচ ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে জাতীয় পরিচয় পত্রের প্রকল্প পরিচালক জানিয়েছেন যে, কেবল দুটি মোবাইল অপারেটর পরিচয়পত্র যাচাই- এর জন্য আবেদন করেছিলো। এতে স্পষ্টত বোঝা যায় যে, সিম নিবন্ধনে তাদের কোনো আগ্রহই ছিলো না। বিটিআরসি তাদেরকে সেই আগ্রহ গড়ে তুলতে বাধ্যও করেনি।

সিম নিবন্ধনে অবিশ্বাস্য কুকীর্তি ছাড়াও মোবাইলের নানা বিষয়ে অপারেটররা জঘন্য কাজ করেই চলেছে। বিটিআরসি তাদের সেইসব কাজের অংশীদার হিসেবে কাজ করেছে। বিটিআরসির আরও মহৎ কীর্তির মাঝে আছে থ্রিজির নিলাম প্রায় ৫ বছর পেছানো, ভ্যালু এডেড সার্ভিস নীতিমালা না করা, নাম্বার ইন্টার অপারেবিলিটি না করা, মোবাইল অপারেটরদের সেবার মান মনিটরিং না করা ও  তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রেক্ষিতে জন্য কোনো ব্যবস্থা না নেয়া, ইন্টারনেটের দাম না কমানো এবং অবৈধ ভিওআইপি বন্ধ  না করে রাষ্ট্রের শত শত কোটি টাকার ক্ষতি করা। দুঃখের সাথে একথা উল্লেখ করতেই হয় যে, এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী রাজিউদ্দিন রাজু,  সাহারা খাতুন ও আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীসহ এই মন্ত্রণালয়ের সচিবগণ ও বিটিআরসির চেয়ারম্যানদের কেউ এই দায় এড়াতে পারেন না। মন্ত্রীরা-সচিবরা নিজেরা উদ্যোগ নেননি। বিটিআরসিরতো কোনো কথাই নেই।

এবারও তারানা হালিম যখন নিবন্ধন নিয়ে দৃঢ়তা দেখান তখন সুনীল বাবু তার বিরোধিতা করেছিলেন। আমার নিজের কাছে এটি বিস্ময়কর মনে হয়েছে যে, সিম নিবন্ধন সঠিক না হলে পুরো দেশটার নিরাপত্তা যে পুরোপুরি বিনষ্ট হয় সেটি কেন টেলিকম বিভাগ, বিটিআরসি বা মোবাইল অপারেটররা উপলব্ধি করেননি। ভুয়া সিমের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার সবচেয়ে জঘন্য কাজগুলো হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করার পক্ষে কাজ করা, দেশটিকে একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করার পক্ষে কাজ করা এবং জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসের বিস্তার করার মতো অপরাধগুলো হতে থাকা। বিগত বছরগুলোতে বিএনপি-জামাতের এসব কাজে ভুয়া সিম সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়েছে।  বছরের পর বছর ধরে এসব কাজ অব্যাহত থাকার পরও কেউ কেন বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি সেটিও ভাবনার বিষয়। টেলিকম বিভাগ ও বিটিআরসির মুখে কি এমন মধু ঢেলে দেয়া হয়েছিলো যে তারা কোনোভাবেই মুখ খুলেননি?

ভুয়া সিমে ব্যাপকভাবে সাধারণ অপরাধও করা হচ্ছে। ইভ টিজিং, অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে ইন্টারনেটে প্রচার, হয়রানি, চাঁদাবাজি, অপহরণ এসব অপরাধের জন্য ভুয়া সিম হয়ে আছে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। সবচেযে বড় ক্ষতিটা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় রাজস্বের। এসব সিম ব্যবহার করে অবৈধ ভিওআইপি করা হচ্ছে। এই পথে কোটি কোটি মিনিটের রাজস্ব হারিয়েছে রাষ্ট্র। সেইসব বন্ধ করতেও কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। টেলিকম প্রতিমন্ত্রী  তারানা হালিম যথার্থই প্রশ্ন তুলেছেন যে, বিদেশি মোবাইল অপারেটররা যেসব দেশ থেকে এসেছে সেইসব দেশেওকি তারা এমনটি করতে পারতো। আমি সরকারি টেলিকম সংস্থা  টেলিটকের সিমও নিবন্ধন ছাড়া কিনতে পেরেছি। আমি নিবন্ধন করে সিম কিনতে গিয়ে বরং হয়রানির শিকার হয়েছি। বিনা নিবন্ধনে সিম কিনেছি সহজে।  টেলিটকের সিম অপরাধে ব্যবহৃত হয়েছে তারও প্রমাণ আছে। ভিওআইপিতেও এর ব্যাপক ব্যবহার হয়েছে। আমি বুঝতেই পারিনা যে এই সরকারি সংস্থা কেমন করে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপরাধে সহায়ক হলো?

পুরো দেশবাসীর কাছে ভুয়া সিমের বিষয়টি প্রায় বজ্রপাতের মতো আবির্ভূত হয়েছে। কেউ ধারণা করতে পারেনি যে, ভুয়া সিমের দৌরাত্ম্য এতো ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত হয়েছে। নিবন্ধনহীন সিমের বিষয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর দৈনিক ইত্তেফাকে একটি খবর বের হয়েছে। খবরটি এরকম: “সিম নিবন্ধন যাচাই করতে গিয়ে একটি ‘ভুয়া’ জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে ১৪ হাজার ১১৭টি সিম তোলার নজির পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার এক  বৈঠকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এই কথা বলেন। তারানা হালিম বলেছেন, গ্রাহকের হাতে থাকা প্রায় ১৩ কোটি সিমের মধ্যে এক কোটির তথ্য সরকার হাতে পেয়েছে, যার ৭৫ শতাংশই সঠিকভাবে নিবন্ধিত নয়। সঠিকভাবে নিবন্ধন হয়েছে মাত্র ২৩ লাখ ৪৩ হাজার ৬৮০টি।

তিনি বলেন, সোমবার পর্যন্ত অপারেটররা গ্রাহকদের যে তথ্য দিয়েছে তা খুবই অপর্যাপ্ত। সব অপারেটর মিলিয়ে প্রায় ১৩ কোটি সিম আছে। এর মধ্যে মাত্র ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ সিমের তথ্য মিলেছে।”

আমি নিজে প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ার সাথে কথা বলে যে ভয়ংকর চিত্র পেয়েছি তাতে পিলে চমকে ওঠেছে। তিনি যেমন ধারণা করতে পারেননি যে, সিম নিবন্ধনের চিত্রটি এতোটাই ভয়াবহ তেমনি আমি নিজেও ভাবিনি যে এর অবস্থা এতোটাই সঙ্গীন। এটি ভাবা যায় যে, ১৩ কোটি সিমের মাঝে কেবল ১ কোটির ডাটা আছে অপারেটরদের কাছে? ওরা ১৩ কোটি সিমের বিল নেয়-সিম চালু রাখে কিন্তু এমনকি জানে না এই সিমের মালিক কে? আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কিভাবে ১২ কোটি সিমের ডাটা পাবে? কার কাছ থেকে পাবে? এটিও কি বিশ্বাস করা যায় যে ১ কোটি সিমের মাঝে মাত্র ২৩ লাখ সিমের নিবন্ধন সঠিক?

আমরা সবাই জানি যে, ডিজিটাল যুগে ডিজিটাল হাতিয়ার ব্যবহার করে যেসব অপরাধ করা হয় সেটি মোকাবেলা করার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে এই প্রযুক্তি ব্যবহারকারীর পরিচয় নিশ্চিত করা। ই-মেইল বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যারা ব্যবহার করেন তারা তাদের প্রকৃত পরিচয় না দিয়েই সেটি ব্যবহার করতে পারেন। ফলে ইন্টারনেটে যেসব অপরাধ হয় সেই অপরাধীকে চিহ্নিত করা জটিল কাজ। তবে প্রযুক্তিগত দিক থেকে এটি খুঁজে বের করা সম্ভব যে কোন ইন্টারনেট প্রটোকল থেকে নেট ব্রাউজ করে কাজটি করা হয়েছে। ইন্টারনেট গেটওয়ের মাধ্যমে আমাদের দেশে ডাটা আদান-প্রদান করা হয় বলে সেখানেও নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তবে আমাদের প্রেক্ষিতটি একটু ভিন্ন। আমাদের দেশে শতকরা ৯৫ ভাগ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। ফলে মোবাইলের সিম সনাক্ত করতে পারলেই শতকরা ৯৫ ভাগ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীকেও সনাক্ত করা যায়। সেজন্য আমরা মোবাইলের পরিচয়টা নিশ্চিত করতে পারলেই ইন্টারনেটের সংকটও নিশ্চিতভাবে মোকাবেলা করতে পারি। দেশে যখন মোবাইল সেবা চালু হয় তখন সিম নিবন্ধন নিশ্চিত করারই ব্যবস্থা ছিলো। কিন্তু কালক্রমে মোবাইল অপারেটরদের বেনিয়া বৃত্তির জন্যই তারা সিমের নিবন্ধনব্যবস্থা ভেঙ্গে ফেলে। দেশে ডিজিটাল অপরাধের বন্যা বয়ে যাবার পথটা তাই তারাই খুলে দেয়।

টেলিকম প্রতিমন্ত্রী যখন সিম নিবন্ধনের বিষয়টিতে গুরুত্ব প্রদান করেন তখন তিনি সকল সিমের নিবন্ধন অত্যাবশ্যক বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। বলা হয়েছিলো যে, সিমের মালিককে নিজের সিম নিজেরই নিবন্ধন করতে হবে। এই ঘোষণার প্রেক্ষিতে আমরা মাননীয় প্রতিমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারি। প্রথমত অনিবন্ধিত সিমের দায় অপারেটরের। ফলে তাদেরকে এই দায় থেকে মুক্তি দেয়া যায় না। কোনো অপারেটরের পোস্টপেইড সিমের নিবন্ধন যাচাই করার দরকার হয়তো হবে না। কারণ পোস্টপেইড সিমের পরিচয় নিশ্চিত করেই সিম দেয়া হয়েছে। অপারেটররা তাদের কাছ থেকে নিয়মিত বিল সংগ্রহ করে বিধায় পরিচয় নিশ্চিত করাটা তাদেরই দায়। তবে পোস্টপেইড সিমের সংখ্যাও খুব বেশি নয় বলে গুরুত্বটা প্রিপেইড সিমের ওপরই পড়েছে। প্রাথমিকভাবে মোবাইল অপারেটরদেরকে সকল সিমের ডাটা দিতে হবে। যে পরিমাণ সিমের ডাটা তারা দিতে পারবে না এবং যেসব সিমের নিবন্ধনের পক্ষে তারা কাগজ সরবরাহ করতে পারবে না সেইসব সিম নিবন্ধন হয়েছে সরকারের নির্দেশনা না মেনে এবং এজন্য তারা প্রতি সিমে ৫০ ডলার জরিমানা দিতে বাধ্য। সরকারের উচিত সেইসব সিমের জরিমানা আদায় করা। যেসব ডাটা অপারেটররা প্রদান করবে সেগুলোর তথ্যাদি যাচাই করা হতে পারে এবং ভুয়া সিমগুলো তখনই বন্ধ করে দিতে হবে। কেবলমাত্র সঠিক  নিবন্ধনের পরই সেইসব সিম সক্রিয় করতে হবে।

এই প্রসঙ্গে শেষ কথাটি হচ্ছে কোনোভাবেই পরিচয় নিশ্চিত না করে কোনো সিম দেশে সক্রিয় রাখা যাবে না। কারণ সিমের নিবন্ধন তথা পরিচয় নিশ্চিতকরণের সাথে ১৬ কোটি নাগরিক ও রাষ্ট্রের নিরাপত্তা জড়িত আছে। কোনো রাষ্ট্র বিশেষ কয়েকটি অপারেটরের ব্যবসার জন্য তার নিজের ও নাগরিকদের নিরাপত্তা বিনষ্ট হতে দিতে পারে না। আমি টেলিকম প্রতিমন্ত্রীকে তার দৃঢ়তার জন্য অভিনন্দন জানাই এবং কোনোভাবেই এতে আপোস না করার অনুরোধ পেশ করি।

লেখক : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ,  কলামিস্ট, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাস-এর চেয়ারম্যান- সাংবাদিক, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যার-এর জনক।  

[email protected],  www.bijoyekushe.net, www.bijoydigital.com

এইচআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।