কলকাতায় নেমে উধাও ১৪০০০ বিদেশি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:১৯ এএম, ২১ মার্চ ২০২০
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় এখন পর্যন্ত তিনজনের শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এদের মধ্যে দু’জন সম্প্রতি ব্রিটেন থেকে দেশে ফিরেছেন।
এর ফলে শহরবাসীর মনে সম্প্রতি বিদেশফেরত নাগরিকদের নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। শুধু বিদেশ ঘুরে আসা লোকজনই নয়, চিন্তা বাড়াচ্ছেন গত দু’সপ্তাহে কলকাতায় আসা ১৪ হাজার বিদেশি নাগরিকও। তাদের মধ্যে অনেকে চীন, ইউরোপ বা উপসাগরীয় দেশগুলো থেকে এসেছেন।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার পর্যন্ত ওই রাজ্যে ১৯ হাজার ৫শ মানুষ বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে আছেন। তাদের অধিকাংশই বিদেশফেরত। কিন্তু ১ মার্চ থেকে ১৭ মার্চের মধ্যে যেসব বিদেশি কলকাতায় এসেছেন, তারা কোথায় আছেন সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য রাজ্য সরকারের কাছে নেই।
নবান্নের স্বরাষ্ট্র দফতরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ তথ্য রাখার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা বিদেশি নিবন্ধীকরণ বিভাগের। তারাই মূলত শহরে আসা বিদেশিদের খোঁজখবর রাখেন।
তবে বিদেশি নিবন্ধীকরণ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, কোনও বিদেশির ভিসা ফর্মে শহরে থাকার যে-ঠিকানা থাকে তার সঙ্গে বিস্তারিত তালিকা সরকারকে দেওয়া হয়েছে। বিদেশিরা কলকাতায় এসে কোথায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তা দেখতে হলে পুলিশকেই মাঠে নামতে হবে।
কোভিড-১৯ ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর কলকাতায় আসা বিদেশিদের প্রতি নির্দিষ্ট নির্দেশিকা দিয়েছিল কেন্দ্র। তাতে জানানো হয়েছে, যেসব দেশে করোনা সংক্রমণের মাত্রা বেশি, সেখানকার নাগরিকরা এই সময়ে শহরে এলে বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। অন্য দেশের নাগরিকদেরও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। করোনার উপসর্গ দেখা দিলে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
নবান্নের হিসাব অনুযায়ী ১ থেকে ১৭ মার্চের মধ্যে ১৪ হাজার ৭৫ জন বিদেশি নাগরিক কলকাতায় এসেছেন। অনেকে ফিরে গেছেন। অনেকে শহরে আছেন বা অন্য কোথাও গেছেন। ইরান থেকে কোনও নাগরিক আসেননি। সব চেয়ে বেশি মানুষ এসেছেন বাংলাদেশ থেকে। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, কানাডা থেকে কয়েকশো বিদেশি কলকাতায় এসেছেন। তবে উল্লেখযোগ্য ভাবে ১৪ মার্চের পর থেকে শহরে বিদেশি নাগরিকদের আসার সংখ্যা অনেকটা কমে গেছে।
সংখ্যা কমলেও চিন্তামুক্ত নয় নবান্ন। কারণ, করোনাআক্রান্ত বিভিন্ন দেশের অনেক নাগরিক কলকাতায় এসেছেন। তাদের গতিবিধি জানার চেষ্টা করছে সরকার। যদি তারা নিজেদের শরীরে ওই প্রাণঘাতী ভাইরাসের কোনও উপসর্গ দেখেন তাহলে তাদের সরাসরি সরকারি হাসপাতালে আসতে বলা হয়েছে। তা নাহলে আপাতত তাদের কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দিচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর।
টিটিএন/এমএস