আমার মৃত্যুর পরও চলবে সেলফি উৎসব
সেলফি নিয়ে আজকাল অভিজ্ঞতা মোটেও ভালো নয়। মানুষ স্থান-কাল-পাত্র ভুলে কান্ডজ্ঞানহীনের মতো সেলফি তোলায় ব্যস্ত। বিয়ে বাড়িতেও যেমন সেলফি উৎসব হচ্ছে তেমন শোকাচ্ছন্ন আবহেও সবাই সেলফি নিয়ে ব্যস্ত।
আর তারকাদের ক্ষেত্রে তো ভোগান্তির শেষ-ই নেই। তাদের ব্যক্তিগত সুখ-দুঃখ জলাঞ্জলি দিয়ে তারা ভক্তদের সাথে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াচ্ছেন। সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার কথাই জানালেন বাংলা গানের যুবরাজ আসিফ আকবর।
তিনি রোববার তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘কান্নার সূযোগ পাওয়া যায়না, কাঁদতে হয় দরজা বন্ধ করে, লুকিয়ে, সময় বের করে। এটাই খ্যাতি সম্পন্ন গায়ক আসিফ আকবরের দূঃখ অনুভূতি প্রকাশের অলিখিত সংবিধান, হয়তো আমার মৃত্যুর পরও চলবে সেলফি উৎসব , চলবে……………… তাতে কি হয়েছে !!!’
আসিফ আরো লিখেছেন, ‘দুদিন আগে প্রয়াত সাংবাদিক আওলাদ ভাইয়ের স্মরণ সভায় প্রবেশ এবং বের হওয়ার সময় ভক্ত ফটোগ্রাফারদের কবলে পড়ে যাই। এমনিতেই মন খারাপ ছিলো, শরীরটাও খারাপ ছিলো, কিন্তু তারা কোন কথা শুনতে রাজীনা। সেলফি কিংবা ছবি তুলেই যাচ্ছে।
আব্বা মারা গেলেন পাঁচ মিনিটও হয়নি,হাসপাতালে এক ভদ্রলোক তার বাচ্চাকে নিয়ে এসে বললেন ছবি তুলতেই হবে। আমি একটু নিভৃতে কাঁদার সুযোগও পেলাম না, তারপর শুরু হল ছবি তোলার হিড়িক। নাছোড় বান্দারা ছবি তুলবেই,বাবাকে দাফন করেই চলে যেতে হল শারজাহ, গান গাইতে, কথা দেয়া ছিলো ।
আম্মার লাশ নিয়ে কুমিল্লা গেলাম। পরিবার মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত। সময় কম, দাফনের ব্যবস্থা করতে হবে। এর মধ্যে এক ভদ্রমহিলা বাসায় ঢুকে রীতিমত ফটোসেশন শুরু করলো। আমার বোন রেগে যেতেই তাকে থামিয়ে দিলাম। শিল্পীদের সপরিবারেই বিনয়ী থাকতে হয়।’
এলএ/এমএস