অমানবিক!
তরকারি রান্না করতে গিয়ে দগ্ধ হয়েছে ইব্রাহীম খলিল (১২) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্র। এ ঘটনার পাঁচদিন পর পরিবারের চাপের মুখে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তবে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করেন ওই ছাত্রের পরিবার।
অমানবিক এ ঘটনাটি ঘটেছে গত ৫ অক্টোবর মিরসরাই হাবিলদারবাসা রশিদিয়া কওমি মাদ্রাসায়।
প্রত্যক্ষদর্শী শাহ আলম জানান, গত ৫ অক্টোবর হাবিলদারবাসা রশিদিয়া কওমি মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ইব্রাহীম খলিল মাদ্রাসার তরকারি রান্না করতে গিয়ে গরম তেলে দগ্ধ হয়।
কিন্তু মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ইসমাইল হোসেন বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে তার গায়ে কাঁচা ডিম লাগিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দিতে মাদ্রাসায় বন্দী করে রাখেন। পরে শনিবার সকালে ওই ছাত্র কৌশলে ছাগলনাইয়া উপজেলার জয়চাঁদপুরে তার মামার বাড়িতে পালিয়ে যায়। বিষয়টি তার মামা-মামী ও এলাকাবাসীকে জানালে তারা হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন।
ওই ছাত্রের মা বিবি আয়েশা কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, তাদের বাড়ি লক্ষ্মীপুর উপজেলার পুকুরদিয়া গ্রামে। তিনি তার ভাইয়ের কাছে ছেলে দগ্ধ হওয়ার খবর শুনে ছাগলনাইয়ায় ছুটে আসেন। এসে দেখেন তার ছেলের সারা শরীর পুড়ে গেছে। তিনি অভিযোগ করেন, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তার ছেলেকে দিয়ে মাদ্রাসার রান্নাবান্নাসহ বিভিন্ন কাজ আদায় করতো। তিনি এমন নির্মম ঘটনার বিচার দাবি করেন।
মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক নিবেদীতা ঘোষ জানান, ছাত্রের শরীরের ১২ শতাংশ পুড়ে গেছে। তবে অগ্নিদগ্ধ হওয়ার পর যথাযথ চিকিৎসা না হওয়ায় কিছুটা ইনফেকশন হয়েছে।
এ বিষয়ে হাবিলদার বাসা রশিদিয়া কওমি মাদ্রসার অধ্যক্ষ ইসমাইল হোসেন ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার ব্যবহৃত নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
জীবন মুছা/এসএইচএস/পিআর