করোনার বৈঠকে কাশ্মীর প্রসঙ্গ তোলায় পাকিস্তানের ওপর ক্ষেপেছে ভারত
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় রোববার ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আহ্বানে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নিয়েছিলেন সার্কভুক্ত দেশের সরকারপ্রধানরা। তবে সেখানে ছিলেন না পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, প্রতিনিধি হিসেবে পাঠিয়েছিলেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাফর মির্জাকে।
বৈঠকে বক্তব্যকালে করোনার পাশাপাশি হঠাৎ কাশ্মীর প্রসঙ্গ টেনে আনেন পাকিস্তানি স্বাস্থ্যমন্ত্রী। আর তাতেই ক্ষেপেছে ভারত।
জাফর মির্জা বক্তব্যের মধ্যে বলেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীরে কোভিড-১৯ সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। এমন চূড়ান্ত স্বাস্থ্য সংকটের সময় অবিলম্বে ওই অঞ্চলের সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া উচিত।’
তার এ বক্তব্য নিয়ে মোদি সরকার সরাসরি কিছু না বললেও সরকারি সূত্রের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, সার্ক (দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা) কনফারেন্সে অংশ নিয়ে শুরু থেকেই অস্বস্তিতে ছিলেন পাকিস্তানি মন্ত্রী। হঠাৎ তার হাতে একটি চিরকুট গুঁজে দেওয়ার পরেই কাশ্মীর প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি।
ভারতের দাবি, এই বৈঠক মানবিকতার প্রেক্ষিতে আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু সেটি নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানি মন্ত্রীর বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন বিজেপির সংসদ সদস্য ও সাবেক ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীর।
এদিন সার্ক সদস্য দেশগুলোর জন্য করোনা মোকাবিলায় জরুরি তহবিল গঠনের প্রস্তাব করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, আমাদের সবার স্বেচ্ছা-সহায়তার ভিত্তিতে এই তহবিল গঠন করা যেতে পারে। জরুরি এই তহবিলে প্রাথমিকভাবে ভারত এক কোটি ডলার দিয়ে শুরু করতে পারে।
সার্কভুক্ত আট দেশের প্রতিনিধিদের বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, করোনা মোকাবিলায় কৌশলগত বিষয় নিয়ে আমাদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য সচিবরাও এ ধরনের সম্মেলনে আলোচনা করতে পারেন। তিনি বলেন, আমি আশা করছি এই সম্মেলন করোনা মোকাবিলায় আমাদের সবাইকে নতুন পথের দিশা দেবে।
ভারতে এ পর্যন্ত ১১০ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে, মারা গেছেন দু’জন। পাকিস্তানে ৯৪ জনের শরীরে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস পাওয়া গেছে। সবশেষ খবর অনুসারে বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন আটজন, এর মধ্যে চিকিৎসার মাধ্যমে তিনজন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
কেএএ/এমকেএইচ