স্পেন-ফ্রান্সে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৫৮ এএম, ১৫ মার্চ ২০২০
ইতালির পর ইউরোপের দুই দেশ স্পেন ও ফ্রান্স করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে বেশ কিছু কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। আশঙ্কা করা হলেও শেষ পর্যন্ত ডোনাল্ড ট্রাম্পের শরীরের করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। এদিকে বিশ্বব্যাপী নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দেড় লাখ ছাড়িয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইতালিকে অনুসরণ করে শনিবার প্রায় গোটা দেশকে অবরুদ্ধ ঘোষণা করেছে স্পেন। ঘরে থেকে মানুষের বাইরে বের হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তবে কাজ, চিকিৎসাসেবা নেওয়া কিংবা ওষুধ ও খাবার কেনার জন্য বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে।
চীনের উহান থেকে বিশ্বের দেড় শতাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসে স্পেনে ১৯৬ জন মারা গেছে। ইউরোপে ইতালির পর স্পেনের অবস্থাই সবচেয়ে খারাপ। দেশটিতে করোনা আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছেই। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের স্ত্রীও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
এদিকে ইউরোপের আরেক দেশ ফ্রান্স করোনার বিস্তার ঠেকাতে বিধিনিষেধ আরোপ করছে। দেশটির কর্তৃপক্ষ রেস্তোরাঁ, পানশালা, সিনেমা হল এবং নাইটক্লাব বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। তবে খাবার ও ওষুধের দোকান, ব্যাংক, তামাকজাত পণ্যের দোকান খোলা থাকবে। এছাড়া রোববার স্থানীয় নির্বাচনও হবে।
করোনাভাইরাসের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি করেছেন ট্রাম্প। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয় দেশগুলো পর্যন্ত তাদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বিস্তৃত করেছে। এরমধ্যে যুক্তরাজ্যও রয়েছে। সোমবার মধ্যরাত থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।
ইতালিতে ঘরবন্দি মানুষ বারান্দায় দাঁড়িয়ে গান গাচ্ছে, চলছে কবিতা আবৃত্তিও।
এদিকে করোনায় আক্রান্ত ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জায়ের বোলসোনারোর সঙ্গে সম্প্রতি সাক্ষাত করলেও ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের চিকিৎসক সিন কোলনি বলেছেন, ব্রাজিলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে নৈশভোজ করলেও প্রেসিডেন্টের শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দেয়নি।’
করোনাভাইরাসের সব হিসাব রাখছে যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়। তারা জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দেড় লাখ ছাড়িয়েছে। এছাড়া নতুন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৫ হাজার ৮০০ এর বেশি মানুষ।
এসএ/এমএস