ইরানে ২৪ ঘণ্টায় ৫৪ প্রাণ কাড়ল করোনা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৩৮ পিএম, ১০ মার্চ ২০২০

গত ২৪ ঘণ্টায় ইরানে নতুন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত আরও ৫৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। দেশটিতে এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর একদিনে সর্বোচ্চ প্রাণহানির ঘটনা ঘটলো মঙ্গলবার। এ নিয়ে করোনায় প্রাণ হারালেন মোট ২৯১ ইরানি।

মঙ্গলবার ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কিয়ানুশ জাহানপোর টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইরানে নতুন করে আরও ৮৮১ জনকে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। ফলে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৪২ জনে।

জাহানপোর বলেন, আমরা যাদের হারিয়েছি তাদের চেয়ে প্রায় ১০ গুণ অর্থাৎ ২ হাজার ৭৩১ জন সুস্থ হয়েছেন। তারা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাসায় ফিরেছেন। চীনের পর ইতালি এবং ইরানে করোনাভাইরাসের ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে।

তবে ইরানে সর্বোচ্চসংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন রাজধানী তেহরানে। দেশটির এই প্রদেশে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন প্রায় ২ হাজার ১১৪ জন। এরপরই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছে মাজানদারান প্রদেশে। দেশটির উত্তনরাঞ্চলীয় এই প্রদেশে আক্রান্তে সংখ্যা ৮৮৬। তৃতীয় স্থানে আছে কম প্রদেশ; সেখানে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৭৫১ জন। দেশটিতে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হন এই প্রদেশেই।

ইরানে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও অঞ্চলকে কোয়ারন্টাইন হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়নি। তবে দেশটির ক্ষমতাসীন সরকার করোনার প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় ভ্রমণ এড়াতে নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশে নতুন করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ প্রথমবারের মতো ধরা পড়ে। এতে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ১৩৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৮০ হাজার ৭৫৭।

করোনায় চীনের পর এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে ইতালিতে। দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬৩ জনে, আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৯ হাজার ১৭২ জন।

সূত্র : এএফপি, সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।

এসআইএস/পিআর

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।