একা মরতে চান না, ভাইরাস ছড়াতে ঘুরে বেড়ালেন রোগী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:১৮ এএম, ০৯ মার্চ ২০২০

করোনাভাইরাসে সারাবিশ্বে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ১০ হাজার ৫৬ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ৩ হাজার ৮২৮ জন। বিশ্বের ১০৯টি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে যাতে সুস্থরা আক্রান্ত না হতে পারেন সেজন্য করোনায় আক্রান্তদের কোয়ারেন্টাইনে (আলাদা) রাখা হচ্ছে। তবে জাপানের এক ব্যক্তি করলেন ঠিক উল্টোটা।

স্বাস্থ্য পরীক্ষায় তার শরীরে করোনার বিষয়ট নিশ্চিত হওয়ার পর তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে কয়েকটি বারে ঘুরে বেরিয়েছেন।

ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য ইনডিপেনডেন্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার জাপানের গামাগোরি জেলার একটি হাসপাতালে ওই ব্যক্তির শরীরে করোনা ধরা পড়ে। তার মা-বাবা থেকে তিনি এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন এবং হাসপাতালে আসন খালি না হওয়া পর্যন্ত তাকে বাড়িতে থাকতে পরামর্শ দেয়া হয়।

জাপানি সংবাদমাধ্যম ফুজি নিউজ নেটওয়ার্ক (এফএনএন) জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ওই যুবক উপকূলীয় এই শহরটির দুটি বার-এ ঘুরে বেড়ান। বাড়িতে থেকে বের হওয়ার সময় পরিবারের সদস্যদের বলে যান, ‘আমি এই ভাইরাস ছড়াতে যাচ্ছি।’

জাপানের আরেকটি সংবাদমাধ্যম টোকিও রিপোর্টারের তথ্যমতে, ৫০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি প্রথমে একটি ট্যাক্সিতে করে ইজাকায়া নামের একটি বারে (পাবস) যান। পরে সেখান থেকে পায়ে হেঁটে সোজা চলে যান ফিলিপিনো একটি বারে।

লোকটি সেখানে কয়েক ধরনের পানীয় পান ও খাবার গ্রহণ শেষে উপস্থিত অন্য কাস্টমারদের জানান, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন (টেস্ট পজিটিভ হয়েছে)।

পরে সেখানে উপস্থিত কর্মীরা স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে ডেকে আনেন। এরপর পুলিশ আসে। কিন্তু লোকটি ততক্ষণে একটি ট্যাক্সি নিয়ে বাড়িতে চলে যান।

পরের দিন তাকে একটি চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ ঘটনার পর বার দুটি জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে। শহরের এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যম এফএনএনকে জানিয়েছেন, ওই বার দুটির কর্মী ও গ্রাহকরা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিন কি-না তা পরীক্ষা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে কর্মকর্তারা একটি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শহরের মেয়র তোশিয়াকি সুজুকি এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি বলেছেন, নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও তিনি বাড়িতে অবস্থান করেননি। এটি অত্যন্ত আক্ষেপের বিষয়।

জাপানে এক হাজারেরও বেশি নাগরিক কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে এদের বেশিরভাগই ব্রিটিশ নিবন্ধিত ডায়মন্ড প্রিন্সেস ক্রুজ লাইনার জাহাজের যাত্রী ছিলেন। জাপানে নোঙর করা প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেসের ৬৯৬ যাত্রী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হন। মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের।

এসআর/পিআর

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।