করোনা আতঙ্ক : ভারতে গণপিটুনির ভয়ে ১৫ ঘণ্টা গৃহবন্দি চীনা নাগরিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৪২ এএম, ০৬ মার্চ ২০২০

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ভারতেও ক্রমশ বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। এ পর্যন্ত দেশটিতে অন্তত ৩০ জনের শরীরে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই ভিনদেশি নাগরিক। ফলে সেখানে বিদেশিদের দেখলেই আতঙ্কিত হচ্ছেন অনেকে। আর সে যদি চীনা নাগরিক হয়, তাহলে তো কথাই নেই!

সম্প্রতি উত্তর প্রদেশের বেশ কয়েকজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যেই সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়েন এক চীনা নাগরিক। এ কারণে রীতিমতো ১৫ ঘণ্টা স্বেচ্ছায় গৃহবন্দি হয়ে ছিলেন তিনি। ভয় পাচ্ছিলেন, ঘর থেকে বের হলেই হয়তো তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলতে পারে স্থানীয়রা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, গত বুধবার বৃহত্তর নয়ডার গ্রিন প্যারাডাইসো হাউজিং সোসাইটির বাসিন্দারা জানতে পারেন, চীনফেরত এক ব্যক্তি অসুস্থ এবং তিনি কিছুতেই দরজা খুলছেন না। পরে বাধ্য হয়েই পুলিশ ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের খবর দেয়া হয়। তারা এসে অনেক বোঝানোর পর টানা ১৫ ঘণ্টা শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে বের হন ওই ব্যক্তি।

সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়। তবে আশার কথা, ওই চীনা নাগরিকের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি।

গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহানে প্রথমবারের মতো ধরা পড়ে করোনাভাইরাস। এরপর অন্তত ৮০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস। যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বাণিজ্যিক প্রতিদ্বন্দ্বী চীনে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮০ হাজার ৫৫২ জন, মারা গেছেন তিন হাজারেরও বেশি মানুষ।

চীনের পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দক্ষিণ কোরিয়ায়। দেশটিতে অন্তত ৬ হাজার ২৮৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে, মারা গেছেন ৪২ জন। মৃত্যুর সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে ইউরোপের দেশ ইতালি। দেশটিতে এ পর্যন্ত অন্তত ১৪৮ জন মারা গেছেন, আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৮৫৮ জন।

এছাড়া, করোনাভাইরাসের তাণ্ডব চলছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানেও। দেশটিতে এ পর্যন্ত অন্তত সাড়ে তিন হাজার মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ১০৭ জন।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

কেএএ/এমএস

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।