ইরান-ইতালি-দ.কোরিয়ার পর্যটকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা ইন্দোনেশিয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:২৪ পিএম, ০৫ মার্চ ২০২০

করোনাভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে এবার ইরান, ইতালি এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় সফর করেছেন এমন বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আনছে ইন্দোনেশিয়া। চীনের পর এই তিন দেশেই করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।

আগামী ৮ মার্চ থেকে এই নিষেধাজ্ঞা শুরু হবে এবং তা ১৪ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হবে। ইন্দোনেশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী রেটনো মার্সুদি বলেছেন, এই তিন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পর্যটকদের স্বাস্থ্য সনদ দেখাতে হবে। স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত ওই সনদে এটা উল্লেখ থাকতে হবে যে, তারা সুস্থ আছেন।

এর আগে চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে আসা পর্যটকদের ওপরও একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এছাড়া ইন্দোনেশিয়ার যেসব নাগরিক এই তিন দেশ থেকে দেশে ফিরবেন তাদেরও অতিরিক্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।

বিশ্বের চতুর্থ জনবহুল দেশ ইন্দোনেশিয়ায় ২৬ কোটি মানুষের বসবাস। সেখানে এখন পর্যন্ত দু'জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ২৮৫ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনাভাইরাস। এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৯৫ হাজার ৪৮১ জন। এছাড়া চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৫৩ হাজার ৬৮৮ জন।

corona

শুধুমাত্র চীনের মূল ভূখণ্ডেই আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৪৩০ এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ১২ জনের। চীনের বাইরে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা দক্ষিণ কোরিয়ায়। সেখানে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৭৬৬ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ৩৫ জন।

অপরদিকে চীনের বাইরে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ইতালিতে। সেখানে এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৮৯ এবং মৃত্যু হয়েছে ১০৭ জনের।

অপরদিকে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানেও এই ভাইরাসের প্রকোপ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৯২২ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং ৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ইরান, ইতালি এবং দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকেই এই তিন দেশের পর্যটকদের ওপর কড়াকড়ি আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশ।

টিটিএন/জেআইএম

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।