করোনা আতঙ্কে ৪ ফুট লম্বা স্টিক দিয়ে চুল কাটছেন চীনা নাপিতরা!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:০৭ পিএম, ০৫ মার্চ ২০২০
করোনাভাইরাস আতঙ্কে চীন পরিণত হয়েছে ভুতুড়ে এক দেশে। মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণের এ ভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকেই বেরোচ্ছে না দেশটির অনেক শহরের মানুষজন। এই পরিস্থিতিতে বন্ধ অনেক সেলুন বা হেয়ার স্টাইল পার্লারও। তারপরও যে ক’টি সেলুন বা হেয়ার স্টাইল পার্লার খোলা রয়েছে, সেখানকার স্টাইলিস্ট বা নরসুন্দররাও থাকছেন সর্বোচ্চ সতর্কতায়। তবে সতর্কতার নতুন এক মাত্রা দেখা গেল কিছু সেলুনে।
সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কিছু ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, মাস্ক পরিহিত নরসুন্দররা কাস্টমার বা গ্রাহকের চুল কাটছেন চার ফুট লম্বা বিশেষ স্টিকের সাহায্যে। অর্থাৎ ওই স্টিকে চিরুনি এবং শেভার বা ছাঁটাইযন্ত্র গেঁথে নরসুন্দররা দূর থেকে বিশেষ পদ্ধতিতে কাস্টমারের ছুল ছেঁটে বা স্টাইল করে দিচ্ছেন। হেয়ারড্রাই বা ব্রাশ করার ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করতে দেখা যায় ওই নরসুন্দরদের। এসময় অবশ্য কাস্টমারদের মুখেও মাস্ক দেখা যায়।
যদিও সরাসরি হাতে চুল ছাঁটা বা স্টাইল করার মতো নিখুঁত হচ্ছিল না কাজটি। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে এই পদ্ধতির ছুল ছাঁটাইয়ে অখুশি নন কাস্টমাররা।
এই অভিনব কৌশল সম্পর্কে চীনের মধ্যাঞ্চলের হেনান প্রদেশের একটি সেলুনের মালিক উ জুনলং সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আপনি হাতে যেভাবে কাজ করতে পারবেন, এভাবে নিশ্চয়ই তা পারবেন না। কিন্তু এটা নিশ্চয়ই আমাদের এবং কাস্টমারদের জন্য নিরাপদ।
ক’দিন আগে দক্ষিণ-পশ্চিমের প্রদেশ সিচুয়ানের একটি সেলুনে ‘লং-ডিস্ট্যান্স হেয়ারকাট’র ছবি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন হে বিং নামে এক হেয়ারস্টাইলিস্ট। তিনি তাতে লেখেন, ‘আমাদের সুরক্ষিত থাকতে হলে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।’
গত জানুয়ারিতে চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ২৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। কেবল চীনেই মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ১২ জনের। এছাড়া এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৫ হাজার ৪৮১ জন।
ভয়াবহ এ ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে চীনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তাদের নাগরিকদের সর্বনিম্ন দেড় মিটার (প্রায় ৫ ফিট) দূরত্বে থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়ায় অনেক দেশই চীনা এমনকি বিদেশি নাগরিকদের আগমনে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। এমনকি ওমরাহ পালনও সাময়িক নিষিদ্ধ করেছে সৌদি আরব।
এইচএ/পিআর