করোনা আতঙ্কে মুখে হাত দেয়া বন্ধ করে দিয়েছেন ট্রাম্প
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৪৮ পিএম, ০৫ মার্চ ২০২০
সর্বত্রই করোনার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। যে কেউ যে কোনো সময় এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। করোনার আতঙ্কে আছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। সে কারণেই গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তিনি নাকি নিজের মুখে হাত দেয়াও বন্ধ করে দিয়েছেন। খবর এএফপির।
বুধবার এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, করোনা ঠেকাতে তিনি নিজের মুখে হাত দেয়াই বন্ধ করে দিয়েছেন। হোয়াইট হাউসে বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের নির্বাহী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ওই বৈঠকে কোভিড-১৯ ভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে যেসব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
যাত্রীবাহী বিমানে কি ধরনের পরিষ্কার অভিযান গ্রহণ করা হয়েছে সে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন নির্বাহী কর্মকর্তারা। এরপরেই হোয়াইট হাউসের করোনভাইরাসের বিরুদ্ধে সমন্বয়কারী কর্মকর্তা ডেবোরাহ বিরক্স সবাইকে মনে করিয়ে দেন যে, করোনাভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে বার বার হাত ধোঁয়া উচিত এবং মুখ স্পর্শ করা উচিত নয়।
সে সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, আমিতো কয়েক সপ্তাহ ধরেই আমার মুখে হাত দেই না। কয়েক সপ্তাহ! আমি এটাকে খুব ‘মিস’ করছি।
তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এমন কথা নিয়েও শুরু হয়েছে সমালোচনা। কারণ গত সোমবার করোনাভাইরাসের প্রকোপ নিয়ে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকের সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে গালে হাত দিয়ে বসে থাকতে দেখা গেছে।
করোনার বিস্তার ঠেকাতে দিনে কয়েকবার সাবান দিয়ে ২০ সেকেন্ড হাত ধোঁয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। একই সঙ্গে মুখ হাত দিয়ে সম্পর্শ না করার পরামর্শও দেয়া হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এমন লোকজনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকা লোকজনের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস।
বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ২৮৫ জনের প্রাণ কেড়েছে এই ভাইরাস। বিভিন্ন দেশে ৯৫ হাজার ৪৮১ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এছাড়া চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৫৩ হাজার ৬৮৮ জন।
শুধুমাত্র চীনের মূল ভূখণ্ডেই আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৪৩০ এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ১২ জনের। চীনের বাইরে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা দক্ষিণ কোরিয়ায়। সেখানে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৭৬৬ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ৩৫ জন।
অপরদিকে চীনের বাইরে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ইতালিতে। সেখানে এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৮৯ এবং মৃত্যু হয়েছে ১০৭ জনের।
টিটিএন/পিআর