মুজাহিদের সঙ্গে দেখা করতে কারাগারে পরিবারের সদস্যরা


প্রকাশিত: ০৫:৩০ এএম, ০৯ অক্টোবর ২০১৫

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার পরিবারের সদস্যরা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রবেশ করেছেন। শুক্রবার ১০টা ৪৭ মিনিটে তারা কারাগারে প্রবেশ করেন।

পরিবারের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন- আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের তিন ছেলে, এক মেয়ে এবং তার স্ত্রী।

এর আগে গত ২ অক্টোবর আপিলের রিভিউ আবেদনের পরামর্শের জন্য মুজাহিদের সঙ্গে দেখা করেন তার আইনজীবীরা।
 
মুজাহিদের ছেলে মাবরুর মুজাহিদ জাগো নিউজকে বলেন, সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের রায় প্রকাশের পর আমরা দেখা করিনি। এই প্রথম আমরা দেখা করবো।

জানা যায়, সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের রায়ে মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় ঘোষণার পরেও তার পরিবার কখনো নির্ধারিত তারিখের আগে দেখা করেনি। এই প্রথম দেখা করছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
 
২০১৩ সালের ১৭ জুলাই মুজাহিদকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন মুজাহিদ। আপিলে সুপ্রিমকোর্ট ট্রাইব্যুনালের রায় বহাল রাখেন।
 
রিভিউ আবেদন করা হবে মর্মে এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী (সাকা) ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুকে নোটিশ পাঠান তাদের আইনজীবীরা।
 
দুই আসামির আইনজীবীরা আগেই জানিয়েছিলেন, রায়ের অনুলিপি হাতে পেলে তারা রিভিউ আবেদন করবেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুইজনের দণ্ড কার্যকর করার জন্য লাল কাপড়ে মোড়িয়ে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এই পরোয়ানা গত ৩০ সেপ্টেম্বর বেলা ৩টার দিকে জারি করা হয়।
 
এই পরোয়ানার অনুলিপি পাঠানো হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছেও। তবে রিভিউ আবেদন করার পর দণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া স্বয়ংক্রীয়ভাবে স্থগিত হয়ে যাবে বলে জানান রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
 
রিভিউ খারিজ হয়ে গেলে সেই রায়ের অনুলিপি কারাগারে পাঠানো হবে এবং কারা কর্তৃপক্ষ সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আসামিদের ফাঁসি কার্যকর করবে।

এআর/আরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।