এপ্রিল শেষে নিয়ন্ত্রণে আসবে প্রাণঘাতী করোনা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:০৯ এএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

সারাবিশ্বে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস এপ্রিলের শেষের দিকে নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে বলে জানিয়েছেন চীনের বিশেষজ্ঞরা।

দেশটির শীর্ষস্থানীয় সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ঝং নানশান বলেছেন, ‘আমরা নিশ্চিত যে এপ্রিলের শেষের দিকে মূলত এ মহামারি নিয়ন্ত্রণে আসবে।’

তবে তিনি আগেই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে, এ রোগের প্রাদুর্ভাব ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে সর্বোচ্চ হবে। এদিকে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে সংক্রমণের সংখ্যার সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে বলে তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন।

চীনের ন্যাশনাল ক্লিনিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের সাবেক এ পরিচালক আরও বলেছিলেন, প্রথম দিকে যদি কর্তৃপক্ষ জোরালোভাবে কাজ করত তাহলে এ রোগের সংক্রমণের খুব বেশি হতো না।

ডা. ঝং আরও পরামর্শ দিয়েছিলেন যে, চীনে যখন এই প্রাদুর্ভাব দেখা গিয়েছিল তখন ভাইরাসটির উদ্ভব নাও হতে পারে।

এদিকে বিশ্বজুড়ে অন্তত ৫০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত দুই হাজার ৮০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ৮২ হাজার ১৬৬ জন। এখন পর্যন্ত ৩৩ হাজার ২০৬ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

শুধমাত্র চীনের মূল ভূখণ্ডেই করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৮ হাজার ৪৯৭। অপরদিকে দেশটিতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে দুই হাজার ৭৪৪ জন। এশিয়ার বিভিন্ন দেশ, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ছে।

চীনের বাইরে করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা দক্ষিণ কোরিয়ায়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৫৯৫ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। সেখানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১৩ জন। অপরদিকে ইতালিতে মারা গেছে ১২ জন। এছাড়া ইতালিতে এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৬৫০ জন।

এদিকে জাপানি প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেসে আক্রান্ত হয়েছে ৬৯১ জন এবং মারা গেছে চারজন। অপরদিকে জাপানের বিভিন্ন স্থানে আক্রান্ত হয়েছে ১৭১ এবং মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে ইরানেই এই ভাইরাসের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। সেখানে এখন পর্যন্ত ২৪৫ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ২৬ জন।

অপরদিকে, সিঙ্গাপুরে আক্রান্তের সংখ্যা ৯৩, যুক্তরাষ্ট্রে ৬০, থাইল্যান্ডে ৪০, বাহরাইনে ৩৩, অস্ট্রেলিয়ায় ২৩, মালয়েশিয়ায় ২২, ফ্রান্সে ১৮, জার্মানিতে ১৮, কুয়েতে ১৮, ভিয়েতনামে ১৬, যুক্তরাজ্যে ১৩, ম্যাকাউতে ১০, কানাডায় ১০, স্পেনে ৮, ইরাকে ৫, ক্রোয়েশিয়ায় ৩, ভারতে ৩, অস্ট্রেলিয়ায় ২, ফিনল্যান্ডে ২, ইসরায়েলে ২, ওমানে ২, রাশিয়ায় ২, সুইডেনে ২ এবং আফগানিস্তানে একজন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।

এছাড়া হংকংয়ে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৯১ এবং মারা গেছে ২ জন। তাইওয়ানে ৩১ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে একজনের। ফিলিপাইনে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ এবং মৃত্যু ১, আলজেরিয়ায় আক্রান্ত ১, বেলজিয়ামে ১, কম্বোডিয়ায় ১, মিসরে ১, জর্জিয়ায় ১, গ্রিসে ১, লেবাননে ১, নেপালে ১, উত্তর মেসিডোনিয়ায় ১, নরেওয়েতে ১, রোমানিয়ায় ১, শ্রীলঙ্কায় ১ এবং সুইজারল্যান্ডে একজন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।

বিএ

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।