দিল্লির সহিংসতা নিয়ে যা বললেন সোনিয়া গান্ধী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৪৫ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০

টানা তিনদিন ধরে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে জাতিগত সহিংসতা চলছে। বেছে বেছে মুসলিমদের ওপর হামলা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। আর এই দাঙ্গার দায় কাঁধে নিয়ে বিজেপি দলীয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে পদত্যাগ করার দাবি জানিয়েছেন দেশটির প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী।

দিল্লির এই দাঙ্গায় ২৩ জন নিহত ছাড়াও আহত হয়েছেন দুই শতাধিক। এমন পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের সদর দফতরে সংবাদ সম্মেলন করেছে দলটির কার্যনির্বাহী (ওয়ার্কিং) কমিটি। সেখানে সোনিয়া গান্ধী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, এ কে অ্যান্টনি, গুলাম নবী আজাদসহ অন্য নেতারা।

কংগ্রেস সভানেত্রী প্রশ্ন তোলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কোথায়? গত একসপ্তাহ ধরে উনি কী করছেন? এই সপ্তাহে উনি কোথায় ছিলেন? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যখন দেখলেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে, তখন আধাসামরিক বাহিনী কেন ডাকলেন না?’ এমন একাধিক প্রশ্নবাণে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ তার মন্ত্রণালয়কে কাঠগড়ায় তোলেন সোনিয়া গান্ধী।

সোনিয়ার দাবি, ‘সহিংসতা ছড়িয়ে পড়া, মৃত্যু মিছিল—এসব ঘটনার জন্য দায়ী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাই কংগ্রেস তার পদত্যাগ দাবি করছে।’ তিনি পরামর্শ দিয়েছেন, উত্তপ্ত এলাকায় মহল্লা পার্টি গড়তে হবে। যারা উত্তেজনা দেখলেই রুখে দাঁড়াবে। মুখ্যমন্ত্রীকে আরও সক্রিয় হতে হবে। গুজব রটনা থেকে বিরত থাকতে হবে নিজেদের।

এদিকে এ ঘটনার চারদিন পর অবশেষে মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার এক টুইট বার্তায় তিনি শান্তি বজায় রাখার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান। শান্তি ও সম্প্রীতি, দেশের কেন্দ্রীয় আবেগ, টুইটে স্পষ্ট করেন মোদি। তিনি শান্তি ও ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রাখতে দিল্লির ভাই-বোনদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।

এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, দিল্লির এই সহিংসতার জেরে বোর্ড পরীক্ষা স্থগিত রেখেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। আজ রাজধানী শহরটির প্রায় সব সরাকারি স্কুল বন্ধ। রায়ট গিয়ারে ফ্ল্যাগমার্চ (দাঙ্গা বিরোধী অবস্থান) দিচ্ছেন আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ান ও দিল্লি পুলিশ। দেখামাত্রই গুলি অর্থাৎ ‘শুট অ্যাট সাইটের’ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এসএ/এমএস

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।