দিল্লির ‘হ্যাপিনেস ক্লাস’ দেখলেন মেলানিয়া
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনবিরোধী ও সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে দিল্লিতে উত্তেজনা চরমে। এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১৩ জন নিহত হয়েছেন বলে খবর রয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে। এমন এক সময়ে দিল্লিতে এ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে যখন সেখানে সফরে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, সঙ্গে ফার্স্ট লেডি মেলানিয়াও।
এ উত্তেজনার মধ্যেই দিল্লির একটি স্কুলের হ্যাপিনেস ক্লাসে গিয়েছিলেন মেলানিয়া ট্রাম্প। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ওই স্কুলে যান তিনি।
ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা উড়িয়ে মেলানিয়াকে অভ্যর্থনা জানায় স্কুলের পড়ুয়ারা। মেলানিয়ার এই স্কুল পরিদর্শন নিয়ে কম রাজনীতি হয়নি। দিল্লির শিক্ষাব্যবস্থার আধুনিকীকরণে কৃতিত্ব অরবিন্দ কেজরিওয়ালকেই দিতে চান অনেকে। বলা হয়, আন্তর্জাতিক স্তরেই প্রশংসিত হয় দিল্লির এই শিক্ষা মডেল।
ভারত সফরে এসে খোদ মেলানিয়ার তরফ থেকে সেই শিক্ষা মডেল দেখার প্রস্তাব আসে। তবে আমন্ত্রণপত্র থেকে বাদ পড়ে কেজরিওয়ালের নাম।
#WATCH Delhi: First Lady of the United States, Melania Trump interacts with students and teachers at Sarvodaya Co-Ed Senior Secondary School in Nanakpura. pic.twitter.com/Tjn7t7dnAK
— ANI (@ANI) February 25, 2020
তারপর মেলানিয়া যেদিন হ্যাপিনেস ক্লাস পরিদর্শস করেন কেজরিওয়াল সেদিন টুইট করে জানান, মার্কিন ফার্স্ট লেডি হ্যাপিনেস ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে চলেছেন। শিক্ষক-শিক্ষিকা, পড়ুয়া এবং দিল্লিবাসীর কাছে খুশির দিন। যুগ যুগ ধরে বিশ্বকে আধ্যাত্মিকতা শিখিয়েছে ভারত। আমাদের স্কুল থেকে খুশির বার্তা মেলানিয়া নিয়ে যেতে পারবেন আশা করি।
উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্টের দু’দিনের ভারত সফরকালে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দিল্লি। এই দু’দিনে ভয়াবহ আকার নেয় গোটা উত্তর-পূর্ব দিল্লি। এখন পর্যন্ত সহিংসতা মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। আহত ১৬০ জনের বেশি। স্কুল-কলেজ অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে। দোকানপাটও বন্ধ। উত্তর-পূর্ব দিল্লির বেশিরভাগ এলাকা কার্যত সুনসান। সহিংসতা মোকাবিলায় জরুরি বৈঠকে বসেছেন অমিত শাহ, অরবিন্দ কেজরিওয়ালরা।
গত বছরের ১১ ডিসেম্বর ভারতের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হয়। পরদিন রাষ্ট্রপতি এ বিলে স্বাক্ষর করলে সেটি আইনে পরিণত হয়। বিলটি আইনে পরিণত হওয়ার পর দেশজুড়ে বিক্ষোভ করেন দেশটির হাজার হাজার মানুষ। বিক্ষোভের তীব্র দাবানল যায় দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, পশ্চিমবঙ্গসহ বেশকিছু রাজ্যে। বিতর্কিত এ আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সময় দুই ডজনেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
এনএফ/এমকেএইচ