করোনাভাইরাস : ইরানে আরও দু’জনের মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৪১ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইরানে আরও দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে ১৪ জন প্রাণ হারাল। স্থানীয় এগতেসা অনলাইনের এক প্রতিবেদনে মঙ্গলবার মেডিকেল সাইন্স ইউনিভার্সিটি অব সাবেহ’র বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

কর্মকর্তারা বলছেন, মারা যাওয়া ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে, তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ইরানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, দেশটিতে করোনাভাইসে আক্রান্ত হয়েছে ৬১ জন।

তবে সোমবার ইরানের আধা সরকারি সংবাদ সংস্থা ইরানিয়ান লেবার নিউজ এজেন্সির (ইলনা) বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদ সংস্থা এপি, ওয়াশিংটন পোস্ট এবং কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয় যে, দেশটির পবিত্র শহর হিসেবে পরিচিত কোমে শহরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে অর্ধশত মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

ইরান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে মৃত্যুর যে সংখ্যা জানিয়েছে এই সংখ্যা তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। আহমাদ আমিরাবাদি ফারাহানি নামে কোম শহরের এক কর্মকর্তা ইলনাকে বলেছেন, শহরে আড়াই শতাধিক মানুষকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

তুরস্ক, পাকিস্তান এবং আর্মেনিয়া ইতোমধ্যেই ইরানের সঙ্গে তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে ইরানেই সবচেয়ে বেশি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশেও এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। এখন পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যের নয়টি দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে।

corona

সোমবার কুয়েত, বাহরাইন, আফগানিস্তান, ইরাক এবং ওমানে প্রথমবারের মতো করোনায় আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। কুয়েতে তিনজন, ওমানে দু’জন, বাহরাইন ও ইরাকে একজন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।

চীনের মূল ভূখণ্ডে নতুন করে আরও ৭১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৬৮ জনই হুবেই প্রদেশের উহান শহরের। চীনে এখন পর্যন্ত দুই হাজার ৬৬৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। অপরদিকে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭৭ হাজার ৬৬৮।

অপরদিকে, বিশ্বব্যাপী ২ হাজার ৭০১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৮০ হাজার ১৫০ জন। এদিকে, ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ইতালিতে এই ভাইরাসের আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সেখানে এখন পর্যন্ত সাতজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এছাড়া আক্রান্ত হয়েছে ২২৯ জন।

অপরদিকে, জাপানি প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেসের আরও এক যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ওই প্রমোদতরীর চারজন প্রাণ হারিয়েছে। দু’সপ্তাহ ধরে ওই প্রমোতরীর যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল।

করোনাভাইরাসে জাপানের বিভিন্ন স্থানে ৫, ইতালিতে ৭, হংকংয়ে ২, তাইওয়ানে একজন, ফ্রান্সে একজন এবং ফিলিপাইনে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৭ হাজার ৪৬৯ জন।

টিটিএন/এমএস

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।