কুয়েত-বাহরাইনেও করোনার হানা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৪৩ পিএম, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস। সম্প্রতি বাহরাইন এবং কুয়েতেও করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। বাহরাইনে একজন এবং কুয়েতে তিনজন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা। এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৭৯ হাজার ৫শ ৬১। এর মধ্যে চীনের মূল ভূখণ্ডেই অধিকাংশ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। রোববার নতুন করে আরও ১৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
চীনে এখন পর্যন্ত ২৩ হাজার ৩৬০ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। অপরদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ১১ হাজার ৪৭৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
চীনের বাইরে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দ. কোরিয়ায় সাতজন, ইতালিতে তিনজন, জাপানের বিভিন্ন স্থানে তিনজন, অপরদিকে জাপানি প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেসে তিনজন, হংকংয়ে দু’জন, ইরানে ৮ জন, তাইওয়ানে একজন, ফ্রান্সে একজন এবং ফিলিপাইনে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ইরানে। সেখানে এখন পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। রোববার নতুন করে আরও ১৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। ফলে এই ভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩।
ইরানে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় আতঙ্কে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, তুরস্ক এবং আর্মেনিয়া ইরানের সঙ্গে তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। অপরদিকে ইরান ভ্রমণে কড়াকড়ি আরোপ করেছে আফগানিস্তান।
চীনের পর দক্ষিণ কোরিয়ায় সবচেয়ে বেশি মানুষ প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সেখানে নতুন করে আরও ১৬১ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৭৬৩ জনে।
অপরদিকে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে জাপানি প্রমোদতরীর আরও এক যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। দু'সপ্তাহ ধরে ওই প্রমোতরীর যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। এ নিয়ে ওই প্রমোদতরীর তিন যাত্রীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
কুয়েত এবং বাহরাইনে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসে আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে দেশটির সরকারি গণমাধ্যম। অপরদিকে, ইতালিতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে তিনজন এবং আক্রান্ত হয়েছে কমপক্ষে ১৫২ জন।
বাহরাইনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইরান থেকে আগত এক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অপরদিকে কুয়েতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে যে, সেখানে তিনজন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
টিটিএন/পিআর