চীনের বাইরে করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দক্ষিণ কোরিয়ায়
চীনের পর প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে এখন সবচেয়ে বেশি আতঙ্কে দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এখন পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ায় ৪৩৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে যে ৪৩৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের ২৩১ জন রোগী শিনচিওঞ্জি সম্প্রদায়ের সদস্য। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সরকার শিনচিওঞ্জি ধর্মীয় গোষ্ঠীর নয় হাজারেরও বেশি সদস্যকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ঘরের মধ্যে থাকার নির্দেশ দিয়েছে।
চীনে যেমন উহান শহরকে করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল হিসাবে দেখা হচ্ছে, দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষেত্রেও তেমনি দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রতিবেশী দুটি শহরকে। শহর দুটি হলো দেগু এবং চোংডো। ভাইরাস ছড়ানোর সূত্র হিসাবে এই দুই শহরকে দেখা হচ্ছে। সন্দেহের তীর গিয়ে পড়েছে ওই অঞ্চলের শিনচিওঞ্জি নামে ক্ষুদ্র একটি খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের দিকে।
আক্রান্তদের প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদ করে বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছে কীভাবে, কার সূত্রে তাদের এই সম্প্রদায়ের এতজন সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন। তবে জানা গেছে, চোংডোতে পনের দিন আগে শিনচিওঞ্জি সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতার ভাইয়ের মৃত্যুর শেষকৃত্যে কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেন।
এর পর থেকেই ওই সম্প্রদায়ের পাঁচশরও বেশি অনুসারী ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার নানা উপসর্গের কথা জানা যায়। দেগু এবং চোংডো এবং আশপাশের এলাকাগুলোতে বিশেষ ব্যবস্থা (স্পেশাল কেয়ার জোন) জারি করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ এই দুই শহরের লোকজনকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না বের হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
চীনে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস থেকে সৃষ্ট কোভিড-১৯ নামক রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা এখন ৭৬ হাজার ২৮৮ জন। এছাড়া এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৩৪৫। বিশ্বের ২৯টি দেশে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস ছড়িয়েছে। এসব দেশে ১৭ জনের মৃত্যু ছাড়াও আক্রান্ত হয়েছেন আরও প্রায় ১ হাজার ৬৪০ জন।
এমএসএইচ