কর্মী করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর স্যামসাংয়ের কারখানা বন্ধ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৪৭ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০

দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক বিশ্বের শীর্ষ স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্যামসাংয়ের কারখানায় এক কর্মীর শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করার পর কারখানাটি সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর গুমিতে অবস্থিত ওই কারখানায় স্মার্টফোন ফোন তৈরি করা হতো।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আজ শনিবার স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, গুমির ওই কারখানাটি আগামী সোমবার সকাল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা একদিনে দ্বিগুণ হয়েছে। দেশটিতে তিন মৃত্যু ছাড়াও মোট আক্রান্ত রোগী এখন ৪৩৩ জন।

করোনা আক্রান্ত ওই কর্মীর সংস্পর্শে অন্য যেসব কর্মী এসেছেন তাদের সবাইকে ‘সেলফ-কোয়ারেন্টাইনে’ থাকার আহ্বান জানিয়েছে স্যামসাং কর্তৃপক্ষ। এছাড়া যাদের মধ্যে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে তাদের সবার শারীরিক পরীক্ষা করা হচ্ছে। চীনের পর দক্ষিণ কোরিয়ায় সবচেয়ে বেশি করোনাভাইরাস আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে।

গুমিতে অবস্থিত স্যামসাংয়ের ওই কারখানায় মূলত দেশের বাজারে বিক্রির জন্য স্মার্টফোন তৈরি করা হতো। কোম্পানিটি তাদের সবচেয়ে বেশি স্মার্টফোন তৈরি করে ভারত এবং ভিয়েতনামে। স্যামসাং বলছে, দক্ষিণ কোরিয়ায় তাদের চিপ ও ডিসপ্লে তৈরির কারখানায় কোনো প্রভাব ফেলেনি করোনাভাইরাস।

আশঙ্কাজনক হারে কোভিড-১৯ রোগী বাড়তে শুরু করায় শুক্রবার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর দায়েগু ও চেওংডোকে ‘স্পেশাল কেয়ার জোন’ ঘোষণা করে দক্ষিণ কোরিয়া। দায়েগুর এক চার্চের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কারণেই শতাধিক মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আর দায়েগু শহরের খুব কাছেই গুমি, যেখানে স্যামসাংয়ের কারখানাটি অবস্থিত।

চীনে করোনাভাইরাস-বাহিত কোভিড-১৯ নামক রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা এখন ৭৬ হাজার ২৮৮ জন। এছাড়া এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৩৪৫। বিশ্বের ২৯টি দেশে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস ছড়িয়েছে। এসব দেশে ১৭ জনের মৃত্যু ছাড়াও আক্রান্ত হয়েছেন আরও প্রায় ১ হাজার ৬৪০ জন।

এসএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।