সিএএ মুসলিমদের জন্য ব্যাপক বঞ্চনা তৈরি করবে : যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:১৮ পিএম, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) ভারত সরকারের নাগরিকত্বের জন্য ধর্মীয় পরীক্ষা তৈরির প্রচেষ্টার অংশ বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল প্যানেলের নতুন একটি নথিতে অভিযোগ করা হয়েছে। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতাবিষয়ক কমিশনের (ইউএসসিআইআরএফ) প্রকাশিক এক নথিতে এই অভিযোগ করা হয়।

এতে বলা হয়েছে, এই আইনের মাধ্যমে ভারতের মুসলিমদের প্রতি ব্যাপক বৈষম্য তৈরি হবে। আইনটি পাসের পর ভারতজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।

ইউএসসিআইআরএফ বলছে, সিএএ পাসের পর ভারতজুড়ে খুব দ্রুত ব্যাপক আকারে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লে দেশটির সরকার বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সহিংস দমন অভিযান শুরু করে। এছাড়া দেশজুড়ে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) বাস্তবায়নের প্রস্তাবের জেরে সেখানে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য এই আইন এক ধরনের ধর্মীয় পরীক্ষা তৈরি করেছে। যা ভারতীয় মুসলিমদের জন্য ব্যাপক বঞ্চনা তৈরি করতে পারে।

নতুন নাগরিকত্ব আইনে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে প্রতিবেশি বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে ভারতে পাড়ি জমানো হিন্দু, শিখ, জৈন, পার্সি, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানরা নাগরিকত্ব পাবেন বলে বিধান রাখা হয়েছে। তবে এই আইনে দেশটিতে আশ্রয় নেয়া মুসলিমদের নাগরিকত্বের ব্যাপারে কোনও কিছুই বলা হয়নি।

গত বছর ভারতের পার্লামেন্টের উভয়কক্ষে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাস হয়ে যাওয়ার পর দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে সব ধর্মের মানুষ এর বিরোধিতায় বিক্ষোভ শুরু করে। বিক্ষোভ দমনে ভারতের নিরাপত্তাবাহিনীর সহিংস অভিযানে দুই ডজনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।

ইউএসসিআইআরএফ সেই সময় বিলটিকে ভুল পথে বিপজ্জনক মোড় হিসাবে অভিহিত করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছিল। একই সঙ্গে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-সহ অন্যান্য নেতাদের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানায় যুক্তরাষ্ট্রের ধর্মবিষয়ক এই কমিশন।

এদিকে ইউএসসিআইআরএফের এমন মন্তব্যকে অযাচিত এবং বিভ্রান্তিকর উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে ভারত। নয়াদিল্লি বলছে, এই আইনের লক্ষ্য হলো সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার মানুষকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেয়া।

সূত্র : এএনআই।

এসআইএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।