দক্ষিণ কোরিয়ায় আরও ২০ জন করোনায় আক্রান্ত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৩৮ পিএম, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০
দক্ষিণ কোরিয়ায় আরও ২০ জন নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন। এর মাধ্যমে চীনের উহান থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ নামের রোগে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৫১ জনে। কোয়ারেন্টাইন প্রস্তুতি জোরদার করতে দেশটিতে নতুন করে আতঙ্ক তৈরি করলো এই খবর।
আজ বুধবার নতুন করে যে ২০ করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হলো তাদের মধ্যে ১৪ জনই একই চার্চের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। ওই চার্চ সংশ্লিষ্টতার কারণে এখন পর্যন্ত ৩১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন। গত ৮ ফেব্রুয়ারি ৬১ বছর বয়সী এক কোরিয়ান নারীর শরীরে ভাইরাসটির উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
তবে ওই নারী কীভাবে করোনা আক্রান্ত হলেন এ বিষয়ে এখনো নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি, কেননা ওই নারী সম্প্রতি দেশের বাইরে কোথাও ভ্রমণ করেননি এবং করোনা আক্রান্ত কোনো রোগীর সংস্পর্শেও জাননি তিনি। তবে তার সংস্পর্শে আসা ১৬৬ জনের সবাই কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছেন তার স্বামী ও দুই সন্তানও।
কোরিয়ার রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (কেসিডিসি) বলছে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় এক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ওই নারী। গাড়ি দুর্ঘটনার পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত ৯ ফেব্রুয়ারি তিসি স্থানীয় চার্চে দুই ঘণ্টার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তারপর থেকেই তিনি করোনায় আক্রান্ত।
কেসিডিসি বুধবার জানিয়েছে, আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তারা ওই পুরো চার্চের সবার শারীরিক পরীক্ষা করবেন। তারপর তারা এ নিয়ে তদন্তে নামলে জানা যাবে যে কীভাবে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, করোনা পরীক্ষায় অসহযোগিতা করলে পুলিশে ডেক শারীরিক পরীক্ষা করা হবে।
বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়া করোনা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয়ায় ১০ হাজার ৪১১ জনকে পরীক্ষা করেছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৩০ জন এখন কোয়ারেন্টাইনে। এছাড়া সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার কারণে ১৬ জনকে হাসপতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এদিকে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ২ হাজার ১০ এবং আক্রান্ত ৭৫ হাজারের বেশি।
গতকাল মঙ্গলবার চীনে আরও ১৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৭৪৯ জন। গত পড়শু উহানের হাসপাতালের এক পরিচালকেরও মৃত্যু হয়েছে। শুধু চীনের মূল ভূখণ্ডে মৃতের সংখ্যা এখন ২০০৪ জন। চীনের বাইরে হংকংয়ে ২ এবং তাইওয়ান, জাপান, ফ্রান্স ও ফিলিপাইনে একজন করে মারা গেছেন।
এসএ/এমএস