নভেরা আহমেদের শিল্পকর্ম নিয়ে প্রদর্শনী


প্রকাশিত: ০৫:০৯ এএম, ০৮ অক্টোবর ২০১৫

আধুনিক ভাস্কর্য শিল্পের অন্যতম শিল্পী প্রয়াত নভেরা আহমেদের শিল্পকর্ম নিয়ে বুধবার জাতীয় জাদুঘরে শুরু হলো প্রদর্শনী। শিল্পীর ৩৪টি ভাস্কর্য দিয়ে সাজানো হয়েছে একক এই প্রদর্শনী। দীর্ঘদিন লোকচক্ষুর অন্তরালে পড়ে ছিল যে রত্নভাণ্ডার, অবশেষে তা উন্মোচিত হলো দর্শনার্থীদের সামনে।

ভাস্কর্যের পাশাপাশি প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে শিল্পীর আঁকা বেশ কয়েকটি চিত্রের অনুকৃতি। এর মধ্যে মুনলিট-১৯৭৮, দ্য বার্ডস সারপেন্ট-১৯৮৪, সোল অব দ্য ফ্যানটম-১৯৭৩, স্পিরিট রিভার-১৯৭৩, স্পেস-১৯৭০ উল্লেখযোগ্য। প্রদর্শনীতে এই শিল্পীর ব্যক্তিগত ছবিও রয়েছে।

বাংলাদেশের শিল্পকলার ইতিহাসে আধুনিক ভাস্কর্য শিল্পের যাত্রা নভেরা আহমেদের হাত ধরেই। তিনি এর পথিকৃতের ভূমিকা পালন করেছেন। বাংলাদেশে (তৎকালীন ব্রিটিশ ভারত) জন্ম নেয়া এই নারী ভারতীয় উপমহাদেশের ভাস্কর্যশিল্পে আধুনিকতম নারী। বাংলাদেশের জাতীয় শহীদ মিনারের নকশা প্রণয়নে তার ভূমিকা অনস্বীকার্য।

গত ৪৫ বছর ধরে তিনি প্যারিসে কাটান। এ সময়ের মধ্যে তিনি একবারও দেশে আসেননি। আসেননি শিল্পকর্মের স্বীকৃতি চাইতেও। ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে একুশে পদক প্রদান করলেও তিনি সেই সম্মান নিতে আসেননি। বিভিন্ন সময় রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ নিয়েও দেশে আনা যায়নি তাকে। লোকচক্ষুর অন্তরালেই কাটিয়েছেন জীবন। আশ্চর্যজনক আড়াল তৈরি করেছিলেন নিজের চারপাশে। দেশের শিল্পীদের সঙ্গেও যোগ ছিল না তার। অবশেষে সেই আড়াল থেকে চির আড়ালে চলে যান এ বছরের ৬ মে। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই আয়োজন করা হয়েছে এ প্রদর্শনীর।

প্রদর্শনীর সমাপনী দিন ১৯ অক্টোবর। প্রদর্শনী সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

এআরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।