টেকনিশিয়ানদের কর্মবিরতি : ভোগান্তিতে এনআইডি সেবাপ্রার্থীরা


প্রকাশিত: ০১:৩৯ পিএম, ০৭ অক্টোবর ২০১৫

বেতন বৃদ্ধির দাবিতে কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বুধবার সারাদিন কর্মবিরতী পালন করেন জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের (এনআইডি) টেকনিক্যাল এক্সপার্টরা। ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পরিচয়পত্র সংশোধন করতে আসা সেবাপ্রার্থীদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে।

কর্মবিরতী পালন করায় সংশ্লিষ্টরা এসময় সার্ভারও বন্ধ করে রাখেন। ফলে দিনভর অপেক্ষা করেও কোনো কূলকিনারা না হওয়ায় ফিরে যেতে হয়েছে তাদের।
 
বিকেলের দিকে এনআইডি মহাপরিচালক কর্মবিরতিতে যাওয়া কর্মকর্তাদের বেতন বাড়ানোর বিষয়ে আশ্বস্ত করলে তারা কাজে যোগ দিতে সম্মত হন। কিন্তু পরে আর কেউ কাজে যোগ দেননি।

এ বিষয়ে ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, চুক্তিভিত্তিক লোকবল দিয়ে কাজ চালানোর কারণেই এনআইডি প্রকল্পের ওপর কারো নিয়ন্ত্রণ নেই। প্রকল্পের ওইসব কর্মকর্তাদের কোনো দায়বদ্ধতাও নেই। ফলে তারা হরহামেশায় খামখেয়ালিপনা করেন।

কর্মবিরতীতে যাওয়ার পর এনআইডি মহাপরিচালক তাদের দাবি মেনে নিয়ে সার্ভার চালু করার জন্য তাদের বারবার ফোনে তাগাদা দিলেও তারা এটি চালু করেনি। বরং ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে নানা অজুহাত দেখান তারা।
 
এ বিষয়ে এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দীন সাংবাদিকদের বলেন, সকাল থেকে কোনো কথাবার্তা ছাড়াই প্রকল্পের টেকনিক্যাল এক্সপার্টরা কাজ বন্ধ রাখেন। ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সেবাগ্রহীতারা ভোগান্তির মধ্যে পড়েন।

তিনি বলেন, সরকার টেকনিক্যাল এক্সপার্টদের বেতন বাড়ায়নি। এজন্য তারা বেতন বাড়ানোর দাবি জানাতে পারেন। কিন্তু আগাম কিছু না জানিয়ে হঠাৎ করে কাজ বন্ধ করা উচিত হয়নি।

সুলতানুজ্জামান বলেন, নির্বাচন কমিশন তাদের বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করছে। তাদের চাকরি হচ্ছে চুক্তিভিত্তিক। তাদের চাকরির মেয়াদ সময় সময় বাড়ানো হয়েছে। বেতনও বাড়ানো হবে। কিন্তু এভাবে কেউ কাজ বন্ধ রাখতে পারে না। একটা মিস ইনফরমেশনের কারণে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। তারা ভুল স্বীকার করে নিয়ে ক্ষমাও চেয়েছেন। কাজে যোগদানেরও কথা বলেছে। শিগগিরই এ সমস্যা কেটে যাবে বলে জানান তিনি।

এইচএস/এসকেডি/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।