মাত্র ১০ মিনিটে বিয়ে সেরে রোগীর সেবায় হাসপাতালে চিকিৎসক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:৪০ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০
একেবারে সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে বিয়ের সব আনুষ্ঠানিকতা সেরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিতে হাসপাতালে ফিরে দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন চীনের এক চিকিৎসক। হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় নিয়োজিত ওই চিকিৎসক বিয়ের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেছেন মাত্র ১০ মিনিটে।
চীনের স্থানীয় দৈনিক চায়না টাইমস বলছে, চিকিৎসক লি ঝিকিয়াং ও কনে ইউ হংইয়ান গত ৩০ জানুয়ারি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। চীনের শ্যানডং প্রদেশের হিজি শহরে এই বিয়ের আসর স্থায়ী ছিল মাত্র ১০ মিনিট। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য বর লি ঝিকিয়াং বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা এমন সংক্ষিপ্ত করেন।
বিয়ের আয়োজন অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ে শেষ করার জন্য আগেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন এই দম্পতি; যাতে বিয়ের পরপরই তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে ফিরে করোনার লড়াইয়ে রোগীদের সেবা দিতে পারেন বর লি ঝিকিয়াং। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা এতটাই সংক্ষিপ্ত এবং সাদামাটাভাবে শেষ করা হয় যে, বর এবং কনে বিয়ের দিন একসঙ্গে দুপুরের খাবারও সারতে পারেননি।
চায়না টাইমস বলছে, ওই বিয়েতে শুধুমাত্র পাঁচজন উপস্থিত ছিলেন; এর মধ্যে বর লি ঝিকিয়াং ও তার বাবা-মা, কনে এবং বিয়ে নিবন্ধনকারী সরকারি কর্মকর্তা। কনের পরিবারের কেউই এই বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন না। চিরাচরিত সব চীনা প্রথা থেকে বেরিয়ে এসে বিয়ের সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠান শেষ করেন ওই নবদম্পতি।
স্বল্প সময়ে বিয়ে হলেও মন খারাপ নয় কনে ইউ হংইয়ানের; যেভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে তার সবকিছুতেই খুশি তিনি।
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশ থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী নতুন করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৬৬৯ জনে দাঁড়িয়েছে। শনিবার দেশটিতে ১৪২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে এবং প্রথমবারের মতো এশিয়ার গণ্ডি পেরিয়ে ইউরোপের দেশ ফ্রান্সে একজন নিহত হয়েছেন।
রোববার দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন বলেছে, করোনাভাইরাসে শনিবার নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২০০৯ জন; যা আগের দিনের তুলনায় কম। শুক্রবার দেশটিতে নতুন করে করোনা সংক্রমিত হিসেবে ২ হাজার ৬৪১ জনকে শনাক্ত করা হয়েছিল।
ফলে চীনে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৮ হাজার ৫০০ জনে পৌঁছেছে। চীনের বাইরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৭৬৪ জন। এর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্ত জাপানে; দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০৭ জন।
এসআইএস/এমএস