করোনাভাইরাস: অস্ট্রেলিয়ায় চীনফেরতদের প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা বাড়ল ৭ দিন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:২৯ পিএম, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০

করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে চীন থেকে ফেরা মানুষদের প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। পূর্বঘোষিত ১৪ দিনের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আগামী শনিবার শেষ হওয়ার কথা। তবে ভাইরাস পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি না হওয়ায় দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ ও জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির পরামর্শে এর সময়সীমা আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন অজি প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।

বৃহস্পতিবার মরিসন জানান, পরিস্থিতি বুঝে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত প্রতি সপ্তাহে পুনর্মূল্যায়ন করা হবে। তবে অস্ট্রেলীয় নাগরিক, স্থায়ী বাসিন্দা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবেন।

এছাড়া, যারা অন্তত ১৪ দিন চীনের বাইরে রয়েছেন এবং শরীরে সিওভিআইডি-১৯’র কোনও লক্ষণ নেই, তারাও নির্বিঘ্নে অস্ট্রেলিয়ায় ঢুকতে পারবেন। সাধারণত যারা ১ ফেব্রুয়ারির আগে চীন থেকে বেরিয়েছেন তাদের জন্যে এ প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা থাকবে না।

অস্ট্রেলিয়া সরকার জানিয়েছে, বিদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা চীনের বাইরে অন্তত ১৪ দিন তৃতীয় কোনও দেশে কাটিয়েছেন তারাও অস্ট্রেলীয় সীমানা পার হতে পারবেন। এছাড়া, এই নিষেধাজ্ঞা শুধু চীনের মূল ভূখণ্ডের জন্যই প্রযোজ্য, হংকং-ম্যাকাওয়ের মতো স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলগুলো এর বাইরে থাকবে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর থেকে গত কয়েকদিনে হঠাৎ করেই বেড়েছে প্রাণহানির সংখ্যা। বুধবার এতে মারা গেছেন অন্তত ২৪৫ জন। ফলে দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৫৯ জন। ভাইরাসের উৎস হুবেই প্রদেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৮৮৭ জন। এছাড়া বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ হাজার ছাড়িয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ায় এ পর্যন্ত ১৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। তবে কেউ মারা যাননি। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন পাঁচজন। এছাড়া দেশটির ক্রিসমাস আইল্যান্ড ও মানিগুর-মা ক্যাম্পে কোয়ারেন্টাইনে থাকা ৫৩৮ জন চীনফেরত নাগরিকের মধ্যে কারও শরীরে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস থাকার লক্ষণ দেখা যায়নি।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

কেএএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।