ট্রাম্পের ‘গ্রীষ্মকালীন তত্ত্ব’: তাপমাত্রা বাড়লেই ভাইরাস দূর
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৫৫ এএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০
এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের কোনও প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি, জানা যায়নি এর সংক্রমণের উৎসও। বিজ্ঞানীরা দিনরাত মাথার ঘাম পায়ে ফেলছেন প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের ওষুধ আবিষ্কারে। এর মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, গ্রীষ্মকাল আসলে করোনাভাইরাস এমনিতেই দূর হয়ে যাবে।
সোমবার হোয়াইট হাউসে গভর্নরদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প জানান, চলতি সপ্তাহে তিনি চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে ফোনে ‘গরমকাল আসলেই ভাইরাস চলে যাবে’ বলে আশ্বস্ত করেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, তাপ এ ধরনের ভাইরাস মেরে ফেলতে পারে। এটা একটা ভালো দিক।
মূলত ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ‘করোনাভাইরাসের গ্রীষ্মকালীন তত্ত্ব’ প্রথমবার প্রকাশ করেছিলেন গত সপ্তাহের এক টুইটে। তার দাবি, এপ্রিল মাসের দিকে গরম আসার সঙ্গে সঙ্গে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব চলে যাবে বলে মনে করছেন অনেকেই।
তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন ধারণার সঙ্গে একমত নন বিশেষজ্ঞরা। টেক্সাসের বেলর কলেজ অব মেডিসিনের ন্যাশনাল স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন বিভাগের ডিন ড. পিটার হোটেজ বলেন, বসন্ত-গ্রীষ্মের সময় এসব (করোনাভাইরাস সংক্রমণ) নেমে যাবে এটা মেনে নেয়া হবে খামখেয়ালি ব্যাপার। ঋতুভিত্তিক বিষয়টি আমরা ঠিক বুঝি না। আর অবশ্যই এই ভাইরাস সম্পর্কেও আমরা কিছুই জানি না।
ভ্যান্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টারের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. উইলিয়াম শ্যাফনার বলেন, তার (ট্রাম্প) আশাই আমাদের আমাদের আশা। তবে এটা (করোনাভাইরাস) সেভাবে (গরমকালে চলে যাবে) কাজ করবে এ ধরনের কোনো জ্ঞান আমাদের নেই।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে শনাক্ত হওয়ার পর থেকে করোনাভাইরাসে প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। চীনে এ পর্যন্ত ৪২ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন, মৃতের সংখ্যাও হাজার ছাড়িয়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মতে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ‘খুব ভালো’ কাজ করছে চীন।
মানুষ থেকে মানুষে সহজেই ছড়িয়ে পড়ায় ভাইরাসটির সংক্রমণ এড়াতে বেশ কয়েকটি শহরে যান চলাচল ও কল-কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে দেশটি। জানুয়ারির শেষের দিকে চীনা নববর্ষের ছুটি শেষে সেগুলো আবার চালু হওয়ার কথা থাকলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ছুটি আরও ১০ দিন বাড়ানো হয়।
বর্ধিত ছুটি শেষে আবার কর্মচাঞ্চল্য শুরু হয়েছে দেশটিতে। গত সোমবার থেকে কাজে ফিরেছেন চীনারা। তবে সেখানে এখনও অসংখ্য কল-কারখানা বন্ধ রেখেছে বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো।
সূত্র: সিএনএন
কেএএ/টিটিএন/জেআইএম