জাপানি প্রমোদতরীর আরও ৩ যাত্রী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত
জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরে কোয়ারেন্টাইনে রাখা প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেসের আরও তিন যাত্রী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে জাহাজটিতে ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৪। শনিবার জাপানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কাতসুনোবু কাতো এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নতুন করে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে ২১ জন জাপানি ও বাকিরা অন্যান্য দেশের নাগরিক। আক্রান্তদের টোকিও, সাইতামা, চিবা, কানাগাওয়া ও শিজুকোর বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রমোদতরীর ‘সন্দেহজনক’ ২৮০ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ৬৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে জাহাজটি তিন হাজার ৭০০ যাত্রী নিয়ে বন্দরের কাছে পানির ওপর ভাসছে। তাদের প্রমোদতরীতেই কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি তারা জাহাজ থেকে নামতে পারবেন।
প্রমোদতরীর রোগীসহ এখন পর্যন্ত জাপানে করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে মোট ৮৬ জন। তবে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, নতুন রোগীর সংখ্যা জাপানের সরকারি হিসাবে আসবে না। কারণ তারা দেশে পৌঁছানোর আগেই ভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। এটা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হেল্থ ইমার্জেন্সি প্রোগ্রামের প্রধান মাইকেল রাইন যাত্রীদের পর্যাপ্ত মানসিক সহায়তা দিতে টোকিওর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, কেবল শারিরীক দৃষ্টিকোন থেকে নয় মানসকি দিক থেকেও জাহাজে থাকা যাত্রীদের প্রচুর সহায়তা প্রয়োজন।
এই পরিস্থিতি যাত্রীদের জন্য খুবই ভয়ঙ্কর এবং অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে, গত ৩ ফেব্রুয়ারি প্রমোদতরীর এক যাত্রীর শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ার পর থেকেই সেটিকে বন্দরে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। ৮০ বছর বয়সী ওই যাত্রী কিছুদিন আগে হংকং থেকে ফিরেছেন।
এখন পর্যন্ত চীনে করোনাভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন ৭২২ জন। দুই দশক আগে চীনের মূল ভূখণ্ড এবং হংকংয়ে সার্স ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে মৃতের সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে করোনাভাইরাস।
গত ৩১ ডিসেম্বর হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম এই ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এখন পর্যন্ত চীনসহ সারাবিশ্বে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩৪ হাজার ৫৪৬ জন। বিশ্বের অন্তত ২৮টি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে।
এমএফ/এমএস