করোনাভাইরাস : চীনে বাড়ছে লাশের মিছিল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৪৫ এএম, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

চীনে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। এখন পর্যন্ত সেখানে ৭২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। দুই দশক আগে চীনের মূল ভূখণ্ড এবং হংকংয়ে সার্স ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে মৃতের সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে করোনাভাইরাস।

আঞ্চলিক স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, চীনের কেন্দ্রীয় হুবেই প্রদেশে নতুন করে আরও কমপক্ষে ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বর হুবেই প্রদেশের উহান শহরেই প্রথম এই ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে।

এদিকে, চীনের হুবেই প্রদেশ এবং অন্যান্য স্থানে এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৫৪৬ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। অপরদিকে চীনের বাইরে আরও দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে একজন হংকংয়ের এবং অন্যজন ফিলিপাইনের।

চীনসহ বিশ্বের ২৮টি দেশ ও অঞ্চলে করোনাভাইরাসের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এসব দেশ ও অঞ্চলে ৩১০ জনের বেশি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। অনেক দেশই তাদের নাগরিকদের চীন ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এছাড়া বিভিন্ন দেশ তাদের নাগরিকদের চীন থেকে ফিরিয়ে নিচ্ছে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এয়ারলাইন্স ইতোমধ্যেই চীনে তাদের ফ্লাইট বাতিল করছে। সেন্ট্রাল ফর ডিজেজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এক মাসের বেশি সময় ধরে বিশেষজ্ঞদের একটি দলকে চীনে পাঠানোর প্রস্তাব দিয়ে আসছে।

ওই দলটিকে চীনে করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং প্রয়োজনে সহায়তা করতে পারবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত চীনের তরফ থেকে কোনো ধরনের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। কী কারণে চীন এমন করছে সে বিষয়টিও তারা ব্যাখ্যা করেনি। দু'সপ্তাহ আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও একই ধরনের প্রস্তাব দিয়েছে। এ ব্যাপারেও কোনো সাড়া মেলেনি।

এ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায়, বেলজিয়াম, কম্বোডিয়া, কানাডা, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, হংকং, ভারত, ইতালি, জাপান, ম্যাকাও, মালয়েশিয়া, নেপাল, রাশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, স্পেন, শ্রীলঙ্কা, সুইডেন, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং ভিয়েতনামে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

টিটিএন/এমএস

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।