লাগাতার কর্মবিরতির হুমকি শিক্ষকদের


প্রকাশিত: ০২:০৮ পিএম, ০৬ অক্টোবর ২০১৫

স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোর দাবিতে আন্দোলনরত সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা সমস্যা নিরসনে সরকারকে অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে। এ সময়ের মধ্যে দাবি মানা না হলে ১ নভেম্বর থেকে শিক্ষকেরা লাগাতার কর্মবিরতিতে যাবেন।

মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সঙ্গে বৈঠকের পর বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের নেতারা এ কথা জানান। বৈঠকে ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালও উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে শিক্ষকরা শিক্ষামন্ত্রীকে বলেন, গত ১৫ জুন আমরা দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিভিন্ন ন্যায়সঙ্গত দাবি-দাওয়া তুলে ধরে স্মারকলিপি প্রদান করি। আপনি শিক্ষকদের পক্ষে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছেন এবং প্রস্তাবিত দাবিসমূহ পূরণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ডিও লেটার দিয়েছেন। কিন্তু পরিতাপের বিষয় শিক্ষকদের দাবি পূরণে কোনোরূপ সাড়া না দিয়েই অষ্টম বেতন কাঠামোর অনুমোদন দেয়া হয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে সারাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন এবং কর্মবিরতিসহ প্রতীকী কর্মসূচি পালন করেছে।

শিক্ষকরা বলেন, উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আমাদের যৌক্তিক দাবিসমূহ পূরণে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জোর অনুরোধ করছি। এ প্রসঙ্গে আন্দোলনের আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার জন্য ফেডারেশনের উপর বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকের অব্যাহত চাপ রয়েছে। সে পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে ১ নভেম্বর হতে লাগাতার কর্মবিরতিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

শিক্ষকদের প্রস্তাবনা সমূহের মধ্যে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের লক্ষ্যে অনতিবিলম্বে একটি বেতন কমিশন গঠন করা; স্বতন্ত্র বেতন স্কেল বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ঘোষিত অষ্টম বেতন কাঠামো পুনর্নির্ধারণ করে সিনিয়র অধ্যাপকদের বেতন-ভাতা গ্রেড-১, অধ্যাপকদের গ্রেড-২, সহযোগী অধ্যাপক গ্রেড-৩, সহকারী অধ্যাপক গ্রেড-৫ ও প্রভাষকদের বেতন কাঠামো সপ্তম গ্রেড-এ নির্ধারণ করা হোক (মেধাবীদের শিক্ষকতা পেশায় আকৃষ্ট করা এবং উন্নত মানবসম্পদ সৃষ্টির লক্ষ্যেই আমাদের এই প্রস্তাবনা।

এটি বাস্তবায়নে পদ্ধতিগত ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া; প্রস্তাবিত গ্রেড-১ প্রাপ্ত সিনিয়র অধ্যাপক হতে ২৫ শতাংশ শিক্ষককে সুপার গ্রেড-এর দুই নম্বর ধাপে বেতন-ভাতা প্রদান করা; রাষ্ট্রীয় ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে শিক্ষকদের প্রত্যাশিত বেতন কাঠামো অনুযায়ী পদমর্যাদাগত অবস্থান নিশ্চিত করা এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তাদের অনুরূপ সুযোগ-সুবিধা শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও নিশ্চিত করা।

জেডএইচ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।