চীন-তাইওয়ান দ্বন্দ্বের বলি উহানে আটকে পড়া তাইওয়ানিজরা!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৫০ এএম, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০
করোনাভাইরাসের উৎসস্থল চীনের উহান শহরে আটকা পড়েছেন তাইওয়ানের কয়েকশ’ নাগরিক। চীন এবং তাইওয়ানের দ্বন্দ্বের কারণে মাতৃভূমিতে ফিরতে পারছেন না তারা। এজন্য পরস্পরকে দোষারোপ করছে বেইজিং ও তাইপেই কর্তৃপক্ষ।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ফলে উহানে আটকা পড়েছে প্রায় পাঁচশ’ তাইওয়ানিজ নাগরিক। এর মধ্যে মাত্র একটি ফ্লাইটে ২৪৭ জন নিজ শহরে ফিরতে পেরেছেন।
যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের ফেরাতে একাধিক ফ্লাইটের অনুমতি দিয়েছে বেইজিং। কিন্তু তাইওয়ানিজদের জন্য একটির বেশি ফ্লাইটে একমত হতে পারেনি চীন-তাইওয়ান।
তাইওয়ানে চীনা নীতিনির্ধারণী মূলভূমি বিষয়ক কাউন্সিল জানিয়েছে, গত সোমবার চীনফেরত নাগরিকদের মধ্যে একজনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। আরও কয়েকজন জ্বরে ভুগছেন। ওই ফ্লাইটের সবাইকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
কাউন্সিলের পক্ষ থেকে শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, একই ফ্লাইটে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে। এর কারণে যদি আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেড়ে যায় সেক্ষেত্রে ভয়াবহ পরিণতি হতে পারে।
তারা বলছেন, চীনের উচিত তাইওয়ানিজদের মধ্যে বয়স্ক, তরুণসহ অন্যান্যরা যারা সহজে সংক্রমণযোগ্য এবং যারা উহানে স্বল্পকালীন ভ্রমণে গিয়েছিলেন তাদের আগে ফেরত পাঠানো। কিন্তু প্রথম ব্যাচ ফেরত আনার সময় চীন এই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে।
চীন বলছে, তাইওয়ানের বিভিন্ন বিধি-নিষেধের কারণেই চলতি সপ্তাহের অন্য ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে। তাদের উচিত তাইওয়ানিজদের ফেরানোর বাধাগুলো সরিয়ে নেয়া। পাশাপাশি, ‘রাজনৈতিক খেলা’ বন্ধ করে তাইওয়ানের ফ্লাইট চালু করা উচিত বলেও মন্তব্য করেছে তারা।
করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৬৩৬ জন। এর মধ্যে ভাইরাসের উৎসস্থল চীনের হুবেই প্রদেশেই মারা গেছেন ৬১৮ জন। সেখানে আরও ১৫ হাজার ৮০৪ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এদের মধ্যে ৮৪১ জনের অবস্থা গুরুতর।
বৃহস্পতিবার চীনে নতুন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে আরও অন্তত আড়াই হাজার। এখন পর্যন্ত চীনসহ সারাবিশ্বে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার। বিশ্বের অন্তত ২৮টি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে।
সূত্র: রয়টার্স
কেএএ/টিটিএন/এমএস