সিরীয় বাহিনীর হামলায় ইদলিবে ফের গৃহহীন ৫ লক্ষাধিক
সিরিয়ার শেষ বিদ্রোহী অধ্যূষিত অঞ্চল ইদলিবে ব্যাপক হামলা ও সামরিক অভিযান শুরু করেছে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ নিয়ন্ত্রিত বাহিনী। সরকারি বাহিনীর হামলায় নয় বছর ধরে চলা যুদ্ধে এক দফায় সবচেয়ে বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এদিকে মুখোমুখি অবস্থানের কারণে আঙ্কারা ও দামেস্ক সম্পর্কেও উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের অনলাইন প্রতিবেদন অনুযায়ী কয়েক সপ্তাহ ধরে আকাশ ও স্থলপথে ব্যাপক বোমাবর্ষণ-হামলার মাধ্যমে ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করেছে সরকারি বাহিনী। ফলে উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে ইদলিব পুরো জনশূন্য হয়ে পড়েছে। আতঙ্কিত মানুষজন বাড়িঘর ছেড়ে উত্তরাঞ্চলীয় তুরস্ক সীমান্তের দিকে ছুটছে।
জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয় কার্যালয়ের (ওসিএইচএ) মুখপাত্র ডেভিড সোয়ানসন বলেন, ‘গত ডিসেম্বরের পর ওই অঞ্চল থেকে ৫ লাখ ২০ হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছেন। যাদের মধ্যে ৮০ শতাংশই নারী ও শিশু। সর্বশেষ এই বাস্তুচ্যুতির কারণে সেখানে ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘ ত্রিশ লাখের বেশি মানুষের মানবিক এই দুর্দশার মুখে পড়ার আশঙ্কার কথা আগেই জানিয়েছিল। সহিংসতার কারণে এরমধ্যে অর্ধেক মানুষ অন্যত্র বাস্তুচ্যুত হয়েছিল। এসব মানুষ ইদলিব প্রদেশ এবং আশপাশের অঞ্চলগুলোর বাসিন্দা। ২০১১ সালে যুদ্ধ শুরুর পর সিরিয়ায় একসঙ্গে এত মানুষ বাস্তচ্যুত হয়নি।
জিহাদি নিয়ন্ত্রিত সিরিয়ার শেষ অঞ্চল ইদলিবের দখল নিতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাশিয়া ও অন্যান্য মিত্রদের সহযোগিতায় আসাদ বাহিনী ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করেছে। এছাড়া গত সোমবার সরকারি বাহিনীর সঙ্গে তুরস্কের সেনাদের ব্যাপক গোলাগুলি হয়। তাতে পাঁচ তুর্কি সেনা নিহত হলে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
ওই ঘটনার পর তুর্কি সেনারা প্রতিশোধের হামলা চালালে সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর অন্তত ১৩ সেনা নিহত হন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান মঙ্গলবার রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে বলেছেন, নতুন কোনো সিরিয়ান হামলা হলে নিশ্চিতভাবেই তার জবাব দেয়া হবে। জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস দ্বন্দ্ব নিরসনের আহ্বান জানিয়েছেন।
এসএ/এমকেএইচ