উহান থেকে ৩ শতাধিক নাগরিককে ফিরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:২৬ পিএম, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০
উহান থেকে আরও তিন শতাধিক নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। দু'টি বিমানে করে ওই যাত্রীদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার উহান ছেড়েছে বিমান দু'টি। পররাষ্ট্র দফতরের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সে সময়ই যাত্রীদের স্ক্রিনিং করা হয়েছে। কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে, তিন ফ্লাইটে এ পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
বিমানের প্রথম ফ্লাইটে ১৯৫ নাগরিককে দেশে ফেরত আনা হয়েছে। গত সপ্তাহে ওই বিমানটি উহান থেকে যাত্রা করে ক্যালিফোর্নিয়ায় অবতরণ করে।
বৃহস্পতিবার আরও একটি বা দু'টি বিমানে করে মার্কিন নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এরপরে আর কোনো বিমান পাঠানো হবে না বলেও উল্লেখ করেছেন ওই কর্মকর্তা।
গত সপ্তাহে চীন ভ্রমণে সতর্কতা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র। সাম্প্রতিক সময়ে চীন সফর করেছেন এমন নাগরিকদের দেশে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন। এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ১১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৮টি দেশ ও অঞ্চলের মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এই ভাইরাস মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হচ্ছে। ফলে আক্রান্ত রোগীদের পৃথক রাখা হচ্ছে।
চীনে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে একদিনেই আরও ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে চীনের মূল ভূখণ্ড ও এর বাইরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯২ জন। মঙ্গলবার চীনে নতুন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে আরও ৩ হাজার ৮৮৭ জন। অর্থাৎ এখন পর্যন্ত চীনে প্রতিষেধকবিহীন এই ভাইরাসে ২৪ হাজার ৩২৪ জন আক্রান্ত হয়েছে।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের মধ্যাঞ্চলীয় হুবেই প্রদেশে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। মহামারির আশঙ্কায় বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ ইতোমধ্যেই চীন থেকে নিজ দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছে।
এছাড়া অনেক দেশই তাদের নাগরিকদের চীন ভ্রমণের ক্ষেত্রে সতর্কতা জারি করেছে। চীনের উহান শহর থেকে অন্যান্য শহরেও ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। এই মুহূর্তে চীনে ভ্রমণ করলে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পরতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে বিভিন্ন দেশ এ বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করেছে।
করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ কী?
এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে শুরুতে জ্বর ও শুষ্ক কাশি হতে পারে। এর সপ্তাহখানেক পর শ্বাসকষ্টও দেখা দেয়। অনেক সময় নিউমোনিয়াও হতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগীর অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা লাগে। তবে এসব লক্ষণ মূলত রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরই জানা গেছে।
সেক্ষেত্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার একদম প্রাথমিক লক্ষণ কী বা আদৌ তা বোঝা যায় কি-না তা এখনও অজানা। তবে নতুন এই করোনাভাইরাস যথেষ্ট বিপজ্জনক। সাধারণ ঠান্ডা-জ্বরের লক্ষণ থেকে এটি মৃত্যুর দুয়ার পর্যন্তও নিয়ে যেতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভাইরাসের নাম দিয়েছে ২০১৯ নভেল করোনাভাইরাস।
টিটিএন/এমএস